এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১৯ নভেম্বর : বিহার বিধানসভার ভোটে নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (AIMIM) । এককভাবে লড়ে এআইএমআইএম পেয়েছে মোট ৫ টি আসন । আর এতে চরম উদ্বুদ্ধ ওয়াইসি ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ভোটকে পাখির চোখ করেছেন । সূত্রের খবর,মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার মুসলিম অধ্যুষিত আসনগুলিতে প্রার্থী দিতে চলেছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি । ফলে টেনশন বাড়িয়ে দিয়েছে এরাজ্যের শাসকদলের ।
জানা গেছে,ইতিমধ্যেই বঙ্গের বিধানসভার ভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরুও করে দিয়েছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি৷ মালদার মানিকচক, কালিয়াচক, চাচোল, রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর বৈষ্ণবনগর ব্লকে খোলা হয়েছে এআইএমআইএম-এর দলীয় কার্যালয় । পাশাপাশি সংগঠনকে চাঙ্গা করতে সংগঠনকে মজবুদ করতে প্রতিনিয়ত কর্মী এবং কার্যকরদের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দলের নেতারা ।
গতকাল রতুয়া ৪৮ নম্বর বিধানসভার এআইএমআইএম-এর কার্যালয়ের উদ্বোধনে গিয়ে দলের জেলা সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, ‘এরাজ্যের ৪০ শতাংশ মুসলিমদের জন্য মমতা ব্যানার্জির দল কিছুই করেনি । শুধু তাদের ব্যবহার করেছে । মুসলিমরা শুধু চেয়ার গোছানো মমতা ব্যানার্জির পিছনে দাঁড়িয়ে থেকে সেলফি তোলার কাজে লেগেছে । তাই এরাজ্যের মুসলিমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা এই মিথ্যাবাদী সরকার চায় না ।’
এদিকে এআইএমআইএম-এর কার্যালয় খোলা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর । মালদা জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি সুকুমার বসুর কথায়, ‘এআইএমআইএম-কে উপস্থাপন করছে বিজেপি । তবে জেলার সংখ্যালঘুরাই তাদের তাড়াবে৷’
অন্যদিকে দক্ষিণ মালদার বিজেপির সভাপতি অজয় গাঙ্গুলি বলেন,’কোন দল এসে কার ভোট কাটবে তা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই৷ আমাদের একটাই লক্ষ্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসা৷’
তবে তৃণমূল কংগ্রেস যতই এআইএমআইএম-কে ফুৎকারে উড়িয়ে দিক না কেন, কিন্তু দলটি যদি সত্যই রাজ্যের মুসলিম বহুল আসনগুলিতে প্রার্থী দেয় তাহলে মমতা ব্যানার্জির জন্য খুব একটা সুখকর হবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহল । কারন, ২০১১ সাল থেকে এরাজ্যের মুসলিম ভোটারদের একচেটিয়া ভোট পেয়ে আসছে তৃণমূল । একদিকে এসআইআর-এ তৃণমূলের কোর ভোটব্যাংকের বহু ভোট কেটে যাওয়ার আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে । পাশাপাশি অন্যদিকে এআইএমআইএম যদি তৃণমূলের মুসলিম ভোটে থাবা বসায় তাহলে বহু আসনে ফ্যাক্টর হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন তারা । এদিকে রেজাউল করিম জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যেই তারা মালদা জেলার ৪০ শতাংশ এলাকায় দলীয় কার্যালয় খুলে ফেলেছেন । তবে পুলিশ তাদের আটকাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ।।
