এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালবাজার,১৯ নভেম্বর : জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্সের মাল ব্লক এলাকায় আত্মঘাতী হলেন একজন মহিলা বিএলও। মৃতের নাম শান্তিমুনি এক্কা (৪৮)। তিনি মালবাজার থানার রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নিউ গ্লেনকো চা বাগানের বাসিন্দা । রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০/১০১ নম্বর বুথের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী শান্তিমুনিদেবী রাঙ্গামাটি বিএলও হিসেবে কর্মরত ছিলেন । আজ বুধবার ভোর প্রায় ৫ টা নাগাদ বাড়ির সামনে একটি গাছ থেকে গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাকে ঝুলতে দেখা যায় । তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে মালবাজার থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় । জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানান,মৃতদেহটি উদ্ধার করে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃত্যু কারণ খতিয়ে দেখতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে মৃতার স্বামী দেওয়াল এক্কা দাবি করেছেন, বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর)-এর কাজের চাপেই তার স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, শান্তিমুনি হিন্দি মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন। সেকারণে তিনি বাংলা লিখতে না পড়তে জানতেন না। প্রায় প্রতিদিন কাজের চাপে হতাশ হয়ে ফিরতেন তিনি। সম্প্রতি চাপ এতটা বেড়ে গিয়েছিল যে বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়তেন। পরিবারের অভিযোগ, শান্তিমুনি বেশ কয়েকবার মালের জয়েন্ট বিডিও-র কাছে বিএলও পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আবেদন গ্রহণ করা হয়নি।
এর আগে গত শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার বোহার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চক বলরামের বাঙাল পুকুর এলাকা বাসিন্দা নমিতা হাঁসদা (৫০) নামে এক বিএলও গননা ফর্ম (Enumeration Form) বিতরণের সময় ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান৷ মৃতা নমিতা হাঁসদার মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামী মাধব হাঁসদা এসআইআর (SIR) এর এনুমারেশন ফর্ম বিলি কাজের চাপকেই দায়ি করেন।।

