প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১২ সেপ্টেম্বর : বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গেলেও রাগী ষাঁড়ের গুঁতোয় মুখের অর্ধেক দাঁত খোয়ালেন এক শ্রমিক।ষাঁড়ের এমন ভয়ংকর হামলার ঘটনাটি শনিবার বিকালে ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার শাসপুর দাঁনকাটিতলা এলাকায় । ষাঁড়ের গুঁতোয় একপাটি দাঁত খোয়ানো লক্ষণ রাজপুত ওরফে সমীর নামের ওই ব্যক্তি মুখে ৮ টি সেলাই নিয়ে এখন কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।ষাঁড়ের আতঙ্কে দিশেহারা কালনার
বাসিন্দারা ষাঁড়টিকে এলাকাছাড়া করার জন্য তাঁরা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ।
কালো সাদা রঙের হিষ্টপুষ্ট ষাঁড়টি অত্যন্ত রাগী হয়ে ওঠার কি কারণ তা কারুর জানা নেই । ষাঁড়টি কালনার দাঁতননকাঠি থেকে সাহাপুর এলাকার মধ্যে ঘোরা ঘুরি করে ।এলাকাবাসীর অভিযোগ আট থেকে আশি কেউই ষাঁড়ের হামলার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না । এমনকি ষাঁড়টি যানবাহনেও হামলা চালিয়ে যানবাহনের ক্ষতি করেদিচ্ছে। ভিন রাজ্যের বাসিন্দা লক্ষণ রাজপুত কর্মসূত্রে কালনার দাঁতনকাঠি তলা এলাকায় এসে রয়েছেন । রাগী ষাঁড়টি এদিন বিকালে হঠাৎতই তার উপরে হামলা চালায় ।ষাঁড়টি তাকে শিং দিয়ে গুঁতোতে থাকে ।স্থানীয় গনেশ মণ্ডল বলেন, লক্ষণ রাজপুকে ষাঁড়টি ভায়ানক ভাবে গুঁতোচ্ছে দেখে তাঁরা কয়েকজন ষাঁড়টিকে তাড়াতে গিয়েও ব্যর্থ হন । তারই মধ্যে ষাঁড়টি তাঁর মস্ত শিং দিয়ে লক্ষণ রাজপুতের মুখে সজোরে গুঁতিয়ে দেয় । সেই গুঁতোয় মারাত্বক জখম হবার পাশাপাশি মুখের একপাটি দাঁতও খোয়ান লক্ষণ রাজপুত । এরপর বহু মানুষ সেখানে ছুটে গিয়ে কোনরকমে ষাঁড়টির হামলার হাতথেকে লক্ষণ রাজপুতকে উদ্ধার করে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়েগিয়ে ভর্তি করেন ।স্থানীয় ধীরেন পাল ও মিঠু হালদার বলেন,“বহু মানুষজন শাহসকরে এগিয়ে গিয়ে ষাঁড়টিকে তাড়াতে পারায় লক্ষণকে প্রাণে বাঁচানো গিয়েছে ।নয়তো শিংয়ে করে গুঁতিয়েই ষাঁড়টি লক্ষণকে প্রাণে মেরে দিত ।’
এলাকার বাসিন্দারা বলেন ,বিগত কয়েক মাসে ষাঁড়টি এলাকার ১৫-২০ জনকে গুঁতিয়ে জখম করেছে । ষাঁড়টির আতঙ্কে ছাত্র ছাত্রীরা প্রাইভেট পড়তে যেতে ভয় পাচ্ছে । ভয়ে বয়স্করাও বাড়ির বাইরে বের হবার শাহস পাচ্ছেন। বাসিন্দাদের বক্তব্য প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে ষাঁড়টিকে এলাকা ছাড়া না করলে তাঁদের আতঙ্কেই দিন কাটাতে হবে ।।