দিব্যেন্দু রায়,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান), ১২ সেপ্টেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের দেবশালা অঞ্চলে তৃণমূলের প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল বক্সিকে খুনের ঘটনায় দলেরই ৩ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আসানুর মোল্লা, মনি হোসেন মোল্লা ও বিশ্বরূপ মণ্ডল । ধৃতরা প্রত্যেকেই স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা । এছাড়া তারা দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্বেও রয়েছে । ধৃতদের মধ্যে কলমডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আসানুর দেবশালা পঞ্চায়েতের সদস্য । এছাড়া সে দেবশালা অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি পদে দায়িত্বে রয়েছে । ভাতকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা মনি হোসেন মোল্লাও দেবশালা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য । তৃতীয় জন বিশ্বরূপ মণ্ডলের বাড়ি লবনধার গ্রামে । সে দেবশালা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি হিমাংশু মণ্ডলের ছেলে । সোমবার ধৃতদের আদালতে তুলে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সুত্রে খবর ।
গত মঙ্গলবার খুন হন তৃণমূল নেতা চঞ্চল বক্সি । তিনি একটি অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ রক্ষা করার পর বাবা শ্যামল বক্সিকে বাইকের পিছনে চাপিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন । মাঝ রাস্তায় জঙ্গলের মধ্যে আসতেই চঞ্চলবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুটি বাইকে আসা চার দুষ্কৃতি । ঘটনার পর পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট যৌথভাবে তদন্তে নামে । স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমও গঠন করা হয় । শেষ পর্যন্ত খুনের ঘটনার ৫ দিন পর ৩ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হল পুলিশ ৷
এলাকায় দক্ষ সংগঠক বলে পরিচিত ছিলেন নিহত তৃণমূল নেতা চঞ্চল বক্সি । দলীয় সুত্রে খবর,এই গুনের জন্য তাঁকে দেবশালা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতির পদে বসানোর ভাবনাচিন্তা চলছিল । তার ফলে এলাকায় কর্তৃত্ব হারানোর আশঙ্কা থেকেই এই খুন বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । পুলিশ নিশ্চিত যে, এই খুনের ঘটনায় সুপারিকিলার কাজে লাগানো হয়েছিল । আর কেউ এই ঘটনায় যুক্ত আছে কিনা জানতে পুলিশ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাবে ।।