এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১১ নভেম্বর : দিল্লির লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ আহত হয়েছে আরও দুই ডজনের অধিক মানুষ৷ আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ এদিকে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তে উচ্চসতর্কতা জারি করা হয়েছে । সোমবার সন্ধ্যায় ওই হামলার পর বিমান বন্দর, রেলস্টেশন,মেট্রো,বাসস্ট্যান্ডগুলিতে কড়া নজরদারির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে । বিশেষ করে বাস বা ট্রেনে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী ।
জানা গেছে,সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ) পাঞ্জাবের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে নজরদারি বাড়িয়েছে, পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ-নেপাল সীমান্ত এবং অন্যান্য সেনা চৌকিগুলোতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে । সাধারণত নেপালকে করিডর করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশি সন্ত্রাসীরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে বলে নেপাল সীমান্তে সুরক্ষা কঠোর করা হয়েছে৷ দিল্লি বিস্ফোরণের কারণে উত্তরপ্রদেশে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে । সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশের সম্ভাবনার কারণে এসএসবি উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
রূপাইদিহা থানা এলাকায় নেপাল সীমান্তের চেকপয়েন্ট থেকে ফুটপাত পর্যন্ত কঠোর নজরদারি বজায় রাখা হচ্ছে।পরিচয়পত্র ছাড়া ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে । তাও কেবল নেপালি এবং ভারতীয় নাগরিকদের ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে। নান-পাড়া সিওও তার বাহিনী নিয়ে সীমান্তে পৌঁছেছেন।এছাড়া, সব ধরনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি এবং দিল্লি পুলিশ।
ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐহিতাসিক পর্যটন স্থাপনা লাল কেল্লার পাশের বিস্ফোরণ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি হুন্দাই আই-২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। আত্মঘাতী হামলাকারী জৈশ- ই-মোহাম্মদের সন্ত্রাসী ডাক্তার ডাঃ উমর মোহাম্মদকে চিহ্নিত করা সক্ষম হয়েছে । বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরক স্থলের আশপাশে ছড়িয়ে ছিন্ন-ভিন্ন দেহাংশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি।
ঘটনাস্থলের ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে ছিন্ন-ভিন্ন দেহ। দিল্লির উপপ্রধান অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা একে মালিক বলেন, আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছি। সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বিস্ফোরণের পর লাল কেল্লা ও এর আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যতম জনপ্রিয় এই পর্যটন স্থাপনার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বছরের পুরো সময়জুড়েই ওই এলাকা পর্যটকে পরিপূর্ণ থাকে।
একই দিনে রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার ফরিদাবাদে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। বিস্ফোরণে পাকিস্তানের সেনা, গোয়েন্দা সংস্থা আই এস আই এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হাফিজ সঈদের কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জৈশ- ই-মোহাম্মদের প্রত্যক্ষ যোগসূত্র সামনে এসেছে ।।
Author : Eidin.

