এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১০ নভেম্বর : স্কুলের ভিতরেই শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি জেলার এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে । বিকেলে কলকাতার ৬ মুরলীধর সেন লেনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় এক্স হ্যান্ডেলে নজর রাখার কথা বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । কথা অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬:১১ নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার ওই তৃণমূল নেতার কীর্তির ভিডিওটি তিনি পোস্ট করেন । যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন ।
ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে মহিলাদের সামাজিক সুরক্ষা তলানিতে তা সর্বজনবিদিত, বিশেষত কর্মরত মহিলারা কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার শিকার হয়ে থাকেন, অনেকাংশে তৃণমূল নেতাদের দ্বারা, সেটাও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে অজানা নয়।যেমন এই ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে, জলপাইগুড়ির সুনীতিবালা সদর গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা কে কান ধরে উঠবোস করাচ্ছেন উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়।ইনি আবার যে সে সভাপতি নন, একেবারে স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারি ভাবে নিযুক্ত সভাপতি।ওনার আর একটা পরিচিতি রয়েছে।
জলপাইগুড়ির তৃণমূল কাউন্সিলর তথা ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের সম্প্রতি পদোন্নতি হয়েছে, চেয়ারম্যান পদে উন্নীত হয়েছেন উনি। মনে হয় শিক্ষিকা মহাশয়া কে অপদস্থ করার পুরস্কার প্রাপ্তি ঘটেছে !!!
এর আগেও কলেজে মহিলা অধ্যাপিকা কে জলের জগ ছুড়ে মারার নজির রয়েছে তৃণমূল নেতার ! তৃণমূলে পদ পেতে গেলে এই ধরনের কাণ্ড ঘটানোটাই স্বাভাবিক, এই পন্থা অবলম্বন করে আগেও অনেকে বড় বড় সব পদ পেয়েছে। তবে সৈকত চট্টোপাধ্যায় এর আগেও খবরের শিরোনামে উঠে আসে অন্য এক কারণে:-
বিগত ২০২৩ সালে, জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়া রোডের বাসিন্দা আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং তার স্ত্রী অপর্না ভট্টাচার্য বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার আগে তাদের লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটে তৎকালীন জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি তথা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম পাওয়া যায়। সেই মামলাতে জেল যাত্রাও হয় সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের৷দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, এই রকম এক কলঙ্কিত ব্যক্তি কে জলপাইগুড়ির মতো ঐতিহ্যশালী শহরের পৌর প্রধান করেছে তৃণমূল। মাতৃশক্তির সম্মান নেই যার কাছে, সেই ব্যক্তি শহর পরিচালনা করবে ।যদিও অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কোনো বিবৃতি সামনে আসেনি৷।

