এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০৭ নভেম্বর : রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ফের “বাংলা আবাস যোজনা”র অনুদান পাইয়ে দেওয়ার নামে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে । শুধু তাই নয়, কুড়ি হাজার টাকা করে কাটমানি না দেওয়ায় ২০ জন উপভোক্তার নাম সুপার চেকিং-এর পর তালিকা থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ এনিয়ে বৃহস্পতিবার মালদার চাঁচলের অলিহন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীগঞ্জ এলাকার বঞ্চিত উপভোক্তারা তুমুল বিক্ষোভ দেখান । রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক মুখেই এই অভিযোগ ওঠায় বিপাকে পড়ে গেছে শাসক দল ।
গতকাল মালদার চাঁচলের অলিহন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীগঞ্জ এলাকার বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তাদের একাংশ ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ দেখান । তাদের অভিযোগ যে বাংলা আবাস যোজনার প্রথম ও দ্বিতীয় তালিকায় নাম থাকলেও শুধুমাত্র ২০,০০০ হাজার টাকা করে কাটমানি দিতে না পারার জন্য সুপার চেকিং-এর পর তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে । এমন অন্তত কুড়ি জল উপভোক্তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের ।
বঞ্চিত উপভোক্তা পেশায় জনমজুর মাজেদ আলির অভিযোগ,এমন অনেক উপভোক্তা রয়েছে যাদের পাকাবাড়ি রয়েছে তারাও আবাস যোজনার টাকা পেয়েছে । তারা সেই টাকায় দু’তলা বাড়ি তুলছে । অথচ তাদের মধ্যে কেউ কাঁচা বাড়ি,কেউ পাতকাঠি দিয়ে ঘেরা বাড়িতে বসবাস করেন । কিন্তু বাংলা আবাস যোজনার অনুদান থেকে তাদের বঞ্চিত করে দেওয়া হয়েছে ।’ তিনি আরও বলেছেন,’প্রশাসন যদি মনে করেন আমার বাড়ি ফের পরিদর্শন করবে,তা করতে । অন্তত আরও একবার এসে দেখে যাক কি পরিস্থিতিতে আমরা বসবাস করছি । তারপরও যদি মনে হয় যে আমি অনুদান পাওয়ার যোগ্য নই তাহলে দিতে হবে না ।’ পাতকাটি দিয়ে ঘেরা বাড়িতে বসবাস করা একজন জনমজুর প্রৌঢ় অভিযোগ করেন যে তার কাছে ২,০০০ টাকা কাটমানি চাওয়া হয়েছিল । কিন্তু তিনি দিতে পারেননি । যেকারণে তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে । অন্য একজন গ্রামবাসীর অভিযোগ,একজন ব্লক আধিকারিকের দাদা তাকে ফোন করে আবাস যোজনার অনুদানের জন্য ২০ হাজার টাকা চেয়েছিল ।
এদিকে বিজেপি শাসকদলকে কটাক্ষ করে বলেছে “তৃণমূল মানেই চোর, তৃণমূল মানেই কাটমানি খোর” ।উত্তর মালদা বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অভিষেক সিংহানিয়া বলেন,’তৃণমূল মানে চোর, তৃণমূল মানে কাটমানি খোর৷ তৃণমূল কাটমানি ছাড়া চলতে পারে না৷ দেবীগঞ্জ এলাকার প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে কারণ তারা কাটমানি দিতে পারছে না । এনকোয়ারি অফিসার যখন যাচ্ছেন তখন তিনি সরাসরি উপভোক্তাদের কাছ থেকে কাটমানি চাইছেন । যে কারণে উপভোক্তারা রাস্তায় নেমে সোচ্চার হয়েছেন । ফের একবার প্রমাণিত হলো যে তৃণমূল মানে চোর কাটমানি খোর । এদের চুড়ি না করলে চলবে না… চলবে না… চলবে না ।’
অন্যদিকে দলীয়ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন । পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলায় বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন ।।

