এইদিন ওয়েবডেস্ক,খড়গপুর,০৭ নভেম্বর : চলন্ত ট্রেনে মহিলার ১৫ লক্ষাধিক টাকার গহনা ও স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার মাত্র দু’তিন দিনের মধ্যেই এই দুঃসাহসিক ছিনতাইয়ের কিনারা করল খড়গপুর জিআরপিএস । জিআরপি মোহাম্মদ নূর আলম ওরফে সাদ্দাম হোসেন নামে ওই ছিনতাইবাজকে গ্রেপ্তার করেছে৷ তার বাড়ি হাওড়ায় । হাওড়ারই যে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে সে ছিনতাই করা গহনা বিক্রি করেছিল সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে সমস্ত গহনা৷ জিআরপি জানিয়েছে, দোকানের মালিক ভুবনেশ্বর প্রসাদ শাহ ওরফে মামা এবং তার সহযোগী শঙ্কর শ’কে চুরি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
রাজ্য পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ঘটনার বিবরণে বলা হয়েছে, গত পয়লা নভেম্বর আপ কামাখ্যা-পুরী এক্সপ্রেসে পরিবারের সদস্যদের সাথে ভ্রমণ করছিলেন ওড়িশার ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা দোলন দাস নামে এক মহিলা । তার হাতে থাকা লেডিজ ব্যাগের মধ্যেই ছিল ১৫ লক্ষাধিক টাকার সোনার গহনা ও স্মার্টফোনটি ৷ ট্রেনটি খড়গপুর স্টেশন ঢোকার মুখেই এক দুষ্কৃতী আচমকা তার হাত থেকে ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় । এরপর ট্রেনটি খড়গপুর স্টেশনে ঢুকলে মহিলা খড়গপুর জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷
বলা হয়েছে,অভিযোগ পেতেই সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত নেমে পড়ে রেল পুলিশ । পুলিশ ট্রেনের সংশ্লিষ্ট কোচের ভিতরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয় । তারপর ফুটেজে গতিবিধি দেখে ওই দুষ্কৃতীর সন্ধান চালাতে শুরু করে জিআরপি । পাশাপাশি বিভিন্ন থানায় দুষ্কৃতীর ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয় । অবশেষে ছিনতাইবাজ মহম্মদ নূর আলমের হদিশ মেলে ।খড়গপুর জিআরপি থানার তদন্তকারী অফিসার ইনস্পেক্টর প্রশান্ত কীর্তনীয়ার নেতৃত্বে একটি দল তাকে হাওড়া থেকে পাকড়াও করে । তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে রেলপুলিশ জানতে পারে যে ওই গহনা সে হাওড়ারই ব্যবসায়ী ভুবনেশ্বর প্রসাদ শাহের দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন৷ এরপর পুলিশ চুরি যাওয়া গহনা উদ্ধারের পাশাপাশি দোকানদার ও তার সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করে ।।

