এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগণা,০২ নভেম্বর : অভাবের তাড়নায় নিজের ৬ দিনের পুত্র সন্তান বিক্রি করিতে যাচ্ছিলেন এক দম্পতি ৷ কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা হাতেনাতে ধরে ফেললে তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায় । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচরাপাড়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফোরম্যান কলোনি এলাকায় । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ যে এর আগেও একটা টোটো ও ২০ হাজার টাকা নগদের বিনিময়ে ওই দম্পতি নিজের এক সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন ।
জানা গেছে,কাঁচরাপাড়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফোরম্যান কলোনির বাসিন্দা নিতাই রায়ের বিরুদ্ধে নিজের সদ্যজাত সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে । তিনি ভ্যানে করে শব্জি ফেরি করে । ওই ব্যক্তির আগে থেকেই ৩ টি ছেলে ও একটা মেয়ে আছে । বড় ছেলে ও বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। এক কিশোর পুত্র রয়েছে তাদের সাথে । সুচিত্রা দে নামে এক স্থানীয় মহিলার অভিযোগ যে এর আগেও নিতাই রায় একটি টোটো ও ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে একজন নিঃসন্তান দম্পতির কাছে একটা বাচ্ছা বিক্রি করে দিয়েছেন । দিন ছয়েক আগে ফের একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন নিতাইয়ের স্ত্রী । মাত্র ৬ দিনের শিশুটিকেও তারা বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিলেন ।
তিনি বলেন,’আজ তিনজন অপরিচিত মহিলাকে নিতাই রায়ের বাড়িতে আসতে দেখা যায় । কিছু পরে মহিলাদের পিছু পিছু সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে বেরুতে দেখা যায় নিতাইয়ের স্ত্রীকে । সন্দেহ হলে প্রতিবেশী যুবকরা তাদের পিছু নেয়৷ পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় বীজপুর থানায় ।’ তার দাবি, ‘আগে একটা বাচ্ছা বিক্রি করে টোটো ও নগদ টাকা পেয়ে সেই লোভে ফের ওই দম্পতি শিশুটিকে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল ।’
যদিও আগের একটা বাচ্ছাকে একটা পুরনো টোটোর বিনিময়ে এক নিঃসন্তান দম্পতিকে “দান” করার কথা কবুল করলে এবারে বাচ্ছা বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিতাই রায় । তার দাবি,’বাচ্ছাটিকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলাম । কিন্তু প্রতিবেশীরা ভেবেছিলেন যে বাচ্ছাটিকে বিক্রি করতে যাচ্ছি ।’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,তাদের পাড়ায় এই প্রকার অনৈতিক কাজ চলতে দেবেন না । এনিয়ে বীজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।।

