এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩১ অক্টোবর : নির্বাচন কমিশন গত সোমবার ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে। তারপর থেকে এসআইআর এখন বঙ্গ রাজনীতিতে “হট কেক” । পূর্ববঙ্গ থেকে আগত লোকজনের মধ্যে নাকি “এসআইআর আতঙ্ক” তাড়া করে বেড়াচ্ছে । আতঙ্কে আত্মহত্যাও করছে বলে দাবি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের । অন্যদিকে তৃণমূলের এই দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি । বিজেপির সাফ কথা : “নোএসআই আর, নো ভোট” । বর্তমানে এনিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম ।
নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে যে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে স্থায়ী নাগরিকত্ব প্রমানের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু নথি জমা দিতে হবে৷ আর যাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল তাদের নতুন করে আর কোনও নথি দিতে হবে না। ওই বছরের ভোটার লিস্টের সঙ্গে সাম্প্রতিক ভোটার লিস্টের ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে । তাতে বহু ফারাক নজরে পড়েছে কমিশনের । বিষয়টি নিয়ে তোলপাড়ের মাঝে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজের ও পরিবারের নাম খুঁজতে ব্যস্ত ভোটাররা । ইতিমধ্যেই কোনো কোনো জায়গায় ক্যাম্প করে মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে গেরুয়া শিবির ও কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা । এখন আপনি আপনার নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় আছে কিনা কিভাবে জানবেন ? কোথায় পাবেন সেই তালিকা?
সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে নতুন ওয়েবসাইট প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন৷ যেখানে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সার্চ করলেই আপনার নির্বাচনী ক্ষেত্রের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা পেয়ে যাবেন। এজন্য আপনাকে গুগলে গিয়ে ‘2002 West Bengal Voter List’ বলে সার্চ করতে হবে। সেখানে প্রথমেই সার্চ রেজাল্টে আসবে : ceowestbengal.wb.gov.in সাইটটি । আর ওই সাইটে ক্লিক করে আপনার নির্বাচনী এলাকার ভোটার লিস্ট বের করতে হবে । কিভাবে বের করবেন সেই তালিকা ? তারজন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করুন :
সাইটে প্রবেশ করলে প্রথমে পশ্চিমঙ্গের একাধিক জেলার নাম আসবে । আপনি আপনার জেলা চয়ন করে তাতে ক্লিক করুন । ক্লিক করার পরেই বিধানসভা কেন্দ্রগুলি সামনে আসবে । আপনার বিধানসভায় ক্লিক করুন । তারপর যে যার বুথ অর্থাৎ যে যেই স্কুলে গিয়ে ভোট দিয়েছেন সেটি খুঁজে বার করতে হবে। সেই নির্দিষ্ট বুথে ক্লিক করলেই ২০০২ সালের ভোটার লিস্টটি খুলে যাবে। এবারে আপনাকে নিজের ও পরিবারের নাম খুঁজে নিতে হবে ।
কিন্তু ২০০২ সালের এই লিস্টে যদি নাম না থাকে তাহলে কি করবেন ? এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কাছে ১১টি নথির মধ্যে যেকোনো একটি নথি জমা দিতে হবে । তার মধ্যে রয়েছে ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগের কোনও পরিচয়পত্র/সার্টিফিকেট/ডকুমেন্ট, বার্থ সার্টিফিকেট, ভারতের পাসপোর্ট, শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র, স্থায়ী বাসস্থানের শংসাপত্র, বনভূমি অধিকার শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) -এর নথি, ফ্যামিলি রেজিস্টারের তথ্য, জমি বা বাড়ি বরাদ্দের শংসাপত্র বা দলিল প্রভৃতি ।।

