এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২২ অক্টোবর : আজ সকাল থেকে রাজ্যের শাসকদল ও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক করে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সকালেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ বিধানসভার সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর চন্দনপুর গ্রামের পুজো মণ্ডপ থেকে “জিহাদি” রা দেবী কালীর প্রতিমার মাথা কেটে দিয়েছে বলে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি । তিনি পুলিশের বিরুদ্ধেও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তোলেন । পরে ফের একটা নতুন ভিডিও পোস্ট করে সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও-এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি । তিনি লিখেছেন,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ শেষমেশ মা কালী কে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গেলো !!!ছিঃ ছিঃ, এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই…।’ তিনি লিখেছেন, ‘পুলিশ প্রথমে গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে মন্দিরের দরজা বন্ধ করলেও গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রতিবাদে মন্দিরের দরজা খুলতে বাধ্য হয় পুলিশ।কয়লা মামলায় পাঁচ বার ইডির তলব পাওয়া নির্লজ্জ বেহায়া সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও, কয়েকশো পুলিশ নিয়ে মা কালীর ভাঙ্গা মূর্তি কে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে পালালো।’ এবারে দিপাবলী উপলক্ষে নিয়ম মেনে বাজি পোড়ানোর পরেও কলকাতার সাউথ সিটি কমপ্লেক্সের বাসিন্দাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার ।
একটি ভিডিও এক্স-এ পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’হিন্দু-বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনব্যবস্থার জন্য লজ্জা। দীপাবলি অন্ধকারকে জয় করে আলোর পবিত্র উৎসব, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।’ তিনি লিখেছেন,’গত রাতে, কলকাতার অভিজাত সাউথ সিটি কমপ্লেক্সের নিরীহ পরিবারগুলি তাদের প্রিয়জনদের সাথে আনন্দের সাথে উদযাপন করছিল, পটকা ফাটিয়েছিল, প্রশাসনের সময়-সম্পর্কিত নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করছিল। কিন্তু নৃশংস, হিন্দু-বিদ্বেষী মমতা পুলিশ কী করেছিল? তারা গুন্ডার মতো ঢুকে পড়ে, পরিবারগুলিকে হুমকি দেয়, নিরীহদের গ্রেপ্তার করে এবং তাদের সন্তানদের সামনে হিন্দু বাসিন্দাদের মারধর করে! ভিডিওগুলি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে, যা এই বর্বর হামলার একটি অনস্বীকার্য প্রমাণ।’
শুভেন্দু লিখেছেন,’স্বাধীন ভারতে, দীপাবলি উদযাপন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু মমতার একনায়কতান্ত্রিক শাসনকালে, হিন্দুদের তাদের নিজের বাড়িতেই অপরাধীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে। এটি কেবল একটি উৎসবের উপর আক্রমণ নয়, এটি হিন্দু সংস্কৃতি, বিশ্বাস এবং অস্তিত্বের উপর সরাসরি যুদ্ধ! কেন এই ভণ্ডামি? অন্যান্য উৎসবের সময় এই ধরনের অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ড কখনও দেখা যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনার হিন্দু-বিরোধী এজেন্ডা উন্মোচিত হয়েছে। আপনার পুলিশ আমাদের উৎসবের সময় শুধুমাত্র হিন্দুদের লক্ষ্য করে তৈরি গুন্ডা স্কোয়াড ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি এই জঘন্য নৃশংসতার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি আশা করি আগামী বছর যখন এই হিন্দু-বিরোধী রাষ্ট্র সরকার ক্ষমতা থেকে উৎখাত হবে তখন প্রতিটি হিন্দুর দীপাবলি আনন্দময় এবং আনন্দময় হোক।’।