ওঁ ৰন্ধূককুসুমাভাসাং পঞ্চমুণ্ডাধিবাসিনীম্
স্ফুরচ্চন্দ্রকলারত্নমুকুটাং মুণ্ডমালিনীম্।
ত্রিনেত্রাং রক্তবসনাং পীনোন্নতঘটস্তনীং
পুস্তকঞ্চাক্ষমালাঞ্চ বরঞ্চাভয়কং ক্রমাৎ ॥
দধতীং সংস্মরেন্নিত্যমুত্তরাম্নায়মানিতাম্।
বন্ধুক-কুসুম-আভাসাং (বন্ধুক নামক রক্তপুষ্পবর্ণা) পঞ্চ-মুণ্ড-অধিবাসিনীম্ (পঞ্চাননের [শিবের] উপরে অধিষ্ঠিতা) ক্ষুরৎ-চন্দ্র-কলা-রত্ন-মুকুটাং (উদীয়মান চন্দ্রের কলা যাঁহার মুকুটে রত্নরূপে বিরাজিত) মুণ্ড-মালিনীম্ (নরশিরোমালাশোভিতা) ত্রি-নেত্রাং (ত্রিনয়না) রক্তবসনাং (রক্তবস্ত্রপরিহিতা) পীন-উন্নত-ঘটন্তনীং (উন্নত-ঘটসম-কুচযুক্তা) ক্রমাৎ (যথাক্রমে) পুস্তকং চ (পুস্তক) অক্ষ-মালাং (রুদ্রাক্ষমালা) বরং চ (বর-মুদ্রা) অভয়কং (ও অভয়-মুদ্রা) দধতীং (ধারিণী) উত্তর-আন্নায়-মানিতাম্ (আগমশাস্ত্র-প্রতিপাদ্যা) [দেবীং-দেবীকে] নিত্যম্ (সদা) সংস্মরেৎ (উত্তমরূপে স্মরণ-ধ্যান করিবে)।
যিনি বন্ধুক নামক রক্তপুষ্পবর্ণা ও শিবোপরি সংস্থিতা, উদীয়মান চন্দ্রকলা যাঁহার মুকুটে রত্নরূপে বিরাজিতা, যিনি নরমুণ্ডমালা-শোভিতা ও উন্নত-ঘটবৎ- স্তনযুগলসংযুক্তা, যিনি ত্রিনয়না ও রক্তবসনা, যিনি চারি হস্তে যথাক্রমে পুস্তক ও রুদ্রাক্ষমালা এবং বরমুদ্রা ও অভয়মুদ্রা ধারিণী-সেই আগমশাস্ত্র- প্রতিপাদ্যা মহাদেবীকে নিত্য উত্তমরূপে ধ্যান করিবে।
কালীং রত্ননিৰদ্ধনূপুরলসৎপাদামবুজামিষ্টদাং
কাঞ্চীরত্নদুকূলহারললিতাং নীলাং ত্রিনেত্রাজ্জ্বলাম্।
শূলাদ্যস্ত্রসহস্রমণ্ডিতভুজামুদ্বজ্র পীনস্তনীং
আৰদ্ধামৃতরশ্মিরত্নমুকুটাং বন্দে মহেশপ্রিয়াম্ ॥
রত্ন-নিবদ্ধ-নূপুর-লসৎ-পাদামুজাম্ (রত্নযুক্ত নূপুরে পাদপদ্ম শোভিতা) ইষ্টদাং (ঈপ্সিত ভোগ ও মোক্ষ-দাত্রী) কাঞ্চী-রত্নদুকূল-হার-ললিতাং (মেখলা, রত্নখচিত বস্ত্র ও হার শোভিতা) নীলাং (নীলবর্ণা) ত্রিনে ব্রোজ্জ্বলাম (ত্রিনয়নোদ্ভাসিতা) শূল-আদি- অস্ত্র-সহস্র-মণ্ডিত-ভুজাম্ (শূলাদি-সহস্র-অস্ত্র- শোভিত-ভুজযুক্তা) উৎবজ্র পীনস্তনীং (ঊর্ধ্বমুখ- স্তনযুগ্ম-সংযুক্তা) আবদ্ধ-অমৃত-রশ্মি-রত্ন-মুকুটাং (অমৃতবর্ষিণী রশ্মিযুক্ত রত্নখচিত মুকুটধারিণী) মহেশপ্রিয়াম্ (শিববল্লভা) কালীং (কালীকে) বন্দে (বন্দনা করি)।
যাঁহার পাদপদ্মযুগল রত্নখচিতনূপুর-শোভিত, যিনি মনোভীষ্টদায়িনী, যিনি মেখলা, রত্নময় বস্ত্র ও মণিহার -পরিহিতা, যিনি নীলবর্ণা, ত্রিনয়নোজ্জ্বলা, সহস্রভুজে শূলাদি-অস্ত্রধারিণী ও ঊর্ধ্বমুখ-স্তনযুগলশোভিতা এবং যিনি অমৃতবর্ষিণী, রশ্মিযুক্তা রত্নখচিত মুকুটধারিণী-সেই শিবপ্রিয়া কালীকে বন্দনা করি।
যা চণ্ডী মধুকৈটভাদিদৈত্যদলনী যা মাহিষোন্মূলিনী
যা ধূম্রেক্ষণচণ্ডমুণ্ডমথনী যা রক্তৰীজাশনী।
শক্তিঃ শুম্ভনিশুম্ভদৈত্যদলনী যা সিদ্ধিদাত্রী পরা
সা দেবী নবকোটীমূর্তিসহিতা মাং পাতু বিশ্বেশ্বরী ॥
যা (যিনি) চণ্ডী (চণ্ডিকা) মধু-কৈটভ- আদি-দৈত্য- দলনী (মধু ও কৈটভাদি অসুরনাশিনী), যা (যিনি) মাহিষ-উন্মুলিনী (মহিষাসুরমর্দিনী), যা (যিনি [দেবী])
ধূম্রেক্ষণ-চণ্ড-মুণ্ড-মথনী (ধূম্রলোচন চণ্ড ও মুণ্ড সংহারিণী), যা (যিনি) রক্ত-বীজ-অশনী (রক্তবীজভক্ষয়িত্রী), যা (যিনি) শক্তিঃ (মহাশক্তি) শুম্ভ-নিশুম্ভ-দৈত্য-দলনী (শুম্ভ ও নিশুম্ভ অসুরনাশিনী) [এবং যিনি] পরা (উত্তমা) সিদ্ধি-দাত্রী (ফলদায়িনী) সা (সেই) নব-কোটী-মূর্তি-সহিতা (নয় কোটি সহচরী-পরিবৃতা) বিশ্ব-ঈশ্বরী (জগদীশ্বরী) দেবী (চণ্ডিকা) মাং (আমাকে) পাতু (পালন করুন)।
যে চণ্ডিকা মধুকৈটভাদি-দৈত্যনাশিনী, যিনি মহিষাসুরমর্দিনী, যিনি ধূম্রলোচন-চণ্ড- মুণ্ডাসুর- সংহারিণী, যিনি রক্তবীজ-ভক্ষয়িত্রী, যে মহাশক্তি শুম্ভনিশুম্ভাসুর-বিনাশিনী ও শ্রেষ্ঠা সিদ্ধিদাত্রী এবং নবকোটি-সহচরী-পরিবৃতা, সেই জগদীশ্বরী দেবী আমাকে পালন করুন।
মধ্যে সুধাবধিমণিমণ্ডপরত্নবেদী-
সিংহাসনোপরিগতাং পরিপীতবর্ণাম্ ।
পীতামবরাং কনকভূষণমাল্যশোভাং’
দেবীং ভজামি ধৃতমুদ্গরবৈরিজিহ্বাম্ ॥
মধ্যে সুধা-অন্ধি-মণিমণ্ডপ-রত্নবেদী সিংহাসন- উপরিগতাং (অমৃত-সাগরের মধ্যে মণিমণ্ডপস্থ রত্নবেদীস্থিত সিংহাসনে অধিষ্ঠিতা) পরিপীতবর্ণাম্ (উত্তম পীতবর্ণা) পীত-অম্বরাং (পীতবস্ত্র-পরিহিতা) কনক-ভূষণ-মাল্য-শোভাং (স্বর্ণালঙ্কার ও মাল্য-শোভিতা) ধৃত-মুদগর-বৈরি-জিহবাম্ (হস্তে মুদগর ও শত্রুর জিহ্বাধারিণী) দেবীং (দেবীকে) ভজামি (ভজনা করি) ॥
সুধাসমুদ্রের মধ্যে মণিমণ্ডপস্থ রত্নবেদীস্থিত সিংহাসনে সমাসীনা, উত্তমপীতবর্ণা, পীতবস্ত্রপরিহিতা, স্বর্ণালংকার ও মাল্যশোভিতা এবং হস্তে মুদগর ও শত্রুজিহ্বাধারিণী দেবীর ধ্যান করি।
★★ স্বামী জগদীশ্বরানন্দ কর্তৃক অনূদিত ও সম্পাদিত “শ্রীশ্রীচণ্ডী” পুস্তক থেকে সংগৃহীত ।