এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৯ অক্টোবর : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার নোতা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের এক বধূর ভিনরাজ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল । শনিবার রুকসনা বেগম (২৮) নামে ওই বধূর দেহ গ্রামে এনে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কবরস্থ করার তোড়জোড় করতেই কাটোয়ার গাঙ্গুলিডাঙ্গা গ্রাম থেকে বধূর বাপের বাড়ির লোকজন ছুটে আসে । তারা খুনের অভিযোগ তুলে মৃতার দেহ আটকে দেয় । শুরু হয় তুমুল বাকবিতণ্ডা । তারপর তারা দেহ তুলে নিয়ে চলে আসে ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ৷ ঘটনাকে ঘিরে প্রায় দিনভর উত্তপ্ত থাকে ভাতার থানার নোতা ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম ।
জানা গেছে,বছর ১৫ আগে ভাতার থানার নোতা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে মফিজুল শেখের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় রুকসনা বেগমের । দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। ছেলে বাহাদুর শেখ অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। মেয়ে মরিয়মের বয়স ৬ বছর। মফিজুল এমব্রয়ডারি কাজ করতেন। এখন গুজরাটের সুরাটে নিজেই একটি এমব্রয়ডারি কারখানা খুলেছেন।
মৃতার বিধবা মা নুরজাহান বেগমের অভিযোগ, ‘কারখানা করার জন্য আমার কাছে ৬ মাস আগে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিল আমার জামাই । মেয়ের মুখ চেয়ে জমিজমা,গহনা বিক্রি করে সেই টাকা দিয়েছিলাম । তারপরেও আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আনার জন্য মেয়ের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল । কিন্তু আমরা টাকা না দিতে পারায় মেয়ের উপর অত্যাচার করত । আমাদের সন্দেহ টাকা না পেয়ে মেয়েকে খুন করা হয়েছে ।’
জানা গেছে,দিন তিনেক আগে সুরাট থেকে ফোনে নুরজাহান বেগমের কাছে তার মেয়ের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় । শনিবার রুকসানার দেহ সুরাট থেকে ভাতারের বলগোনা এসে যখন পৌছায় তার আগে থেকেই গাঙ্গুলিডাঙ্গা থেকে বেশকিছু লোকজন বলগোনায় জড়ো হয় । দেহ আসতেই তাঁদের সঙ্গে মফিজুল ও তাঁর আত্মীয়ের বচসা বাধে। মফিজুল দেহ ফেলে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে রুকসনার দেহ তুলে নিয়ে কাটোয়া হাসপাতালে চলে আসেন বাপের বাড়ির লোকজন। দাবি করেন ফের ময়নাতদন্ত করানো হবে। যদিও সুরাটে ময়নাতদন্তের পরেই দেহ নিয়ে আসা হয়েছিল। এদিন কাটোয়া হাসপাতালে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ আসে । পুলিশ বোঝানোর পর বাপেরবাড়ির লোকজন দেহ নিয়ে গাঙ্গুলিডাঙ্গা চলে আসেন। মৃতার দুই সন্তান বর্তমানে মামাবাড়িতেই রয়েছে ।।

