এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,১৮ অক্টোবর : পাবলিক প্লেসে বোরখা এবং নেকাব নিষিদ্ধ করতে চলেছে পর্তুগাল । কারন পর্তুগালের সংসদে অতি-ডানপন্থী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা বোরকা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বলা হয়েছে যে “লিঙ্গ বা ধর্মীয় উদ্দেশ্য” পূরণের জন্য এই ধরণের পর্দা ব্যবহার করা হলে এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে এবং অপরাধীদের জন্য ২০০ ইউরো থেকে ৪,০০০ ইউরো (£১৭৪-£৩,৪৭৩) জরিমানা আরোপ করা হবে । এমনকি কোনো মহিলাকে এই ইসলামি পোশাক জোর করে পরতে বাধ্য করলে তার তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে । তবে বামপন্থীরা বোরখা এবং নেকাবের উপর নিষেধাজ্ঞার তীব্র বিরোধিতা করেছে ।
যদি এটি আইনে পরিণত হয়, তাহলে ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডস সহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলির সাথে বোরখা এবং নেকাব সম্পূর্ণ বা আংশিক নিষিদ্ধ করা দেশে পরিনত হবে পর্তুগাল ।
এখন পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো ডি সুসা বিলটি ভেটো দিতে পারেন বা চেকের জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠাতে পারেন। শুক্রবারের বিতর্কে অতি-ডানপন্থী চেগা পার্টির নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা এমপিদের বলেন,’এই দেশে একদিন বোরকা পরা থেকে সংসদের মহিলা সদস্যদের, আপনাদের কন্যাদের, আমাদের কন্যাদের রক্ষা করব ।’
তবে বিলটির বিরোধিতাকারী বামপন্থী দলগুলির বেশ কয়েকজন মহিলা এমপি রিপাবলিক অ্যাসেম্বলিতে মিঃ ভেনচুরার বিরোধিতা জন্য মুখোমুখি হন, কিন্তু মধ্য-ডান জোটের সমর্থনের কারনে প্রস্তাবটি পাস হয়।
ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আন্দ্রেয়া নেটো ভোটের আগে বলেছিলেন,’এটি পুরুষ ও নারীর মধ্যে সমতা নিয়ে বিতর্ক। কোনও মহিলাকে তার মুখ ঢাকতে বাধ্য করা উচিত নয়।’
ইউরোপে খুব কম সংখ্যক মুসলিম নারীই তাদের মুখ ঢেকে রাখেন এবং পর্তুগালে এই ধরনের বোরকা খুবই বিরল। কিন্তু পুরো মুখ ঢাকা নেকাব এবং বোরখার মতো পোশাক মহাদেশ জুড়ে একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে উঠেছে, কেউ কেউ যুক্তি দিচ্ছেন যে এগুলি লিঙ্গ বৈষম্যের প্রতীক অথবা নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে এবং এগুলিকে নিষিদ্ধ করা উচিত।।

