এইদিন ওয়েবডেস্ক,হুগলি,১৮ অক্টোবর : রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে তুইতোকারি করে শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন,”আয় তুই শ্রীরামপুরে তারপর তুই ঘরে ফিরে যাস কি করে দেখব ।” গতকাল কল্যাণের এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আজ হুগলির শ্রীরামপুরের বুকে দাপিয়ে বেড়ালেন সুকান্ত । চাপাদানিতে বাইক র্যালি করে শ্রীরামপুর পৌঁছনোর পর তিনি কল্যাণকে উদ্দেশ্য করে বলেন,”আয় কল্যান দেখে যা বিজেপির ক্ষমতা”৷
গতকাল মিডিয়ার সামনে কল্যাণ ব্যানার্জি বলেছিলেন,’একটা ভোটারের নাম বাদ দিয়ে দেখুক না, স্তব্ধ করে দেব । ওই যে একটা ছোঁড়া মন্ত্রী হয়েছে, দেখ না কোথায় সিএসএফ গুলি নিয়ে চলে । ওই গুলি তোর বুকে লেগে যাবে । ওর মস্তানি বের করে দেবো একদম । বালুরঘাটে দশ হাজার ভোটে জিতেছে, এবার দেখছি আমি ।’ সিআইএসএফ গুলি করবে, এত বড় হিম্মত? বাংলার মানুষকে চিনিস না ।’ তিনি আরও বলেন,’ওই ধরনের দু’চারটে সুকান্ত আমাদের কাছে হাওয়া দিয়ে উড়ে যায় । কোনদিন মাঠে জীবনে দেখেছেন । যত হচ্ছে অফিসে বসে । আয় না আমাদের এখানে বক্তৃতা দিতে । আয় তুই শ্রীরামপুরে । তারপর তুই ঘরে ফিরে যাস কি করে দেখব ।’
গতকালই সুকান্ত মজুমদার জানান যে তিনি কল্যাণ ব্যানার্জির “চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট” করলেন । শনিবারই তিনি শ্রীরামপুরে যাচ্ছে । যথারীতি আজ শ্রীরামপুরে আসেন সুকান্ত । তার আগে চাপাদানিতে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তিনি নিজেই বাইক চালিয়ে যান । পরে শ্রীরামপুর শহরে হুডখোলা গাড়িতে তিনি মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলেন,’উনি আমাকে তুই-তকারী করেছিলেন । ওটা তার শিক্ষা । তিনি যার কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছেন সেই শিক্ষা নিয়ে উনি আমাকে তুই-তকারী করেছেন । আজকে ওনার মন্ত্র নিয়েই বলছি, “কল্যাণ কল্যাণ ডাকপাড়ি কল্যাণ গেল কার বাড়ি ?” কালকে এত বড় বড় কথা বলে গেল যে সুকান্ত মজুমদার এলে বেরুতে দেব না । এত দম! এই করব, হ্যান করব, ত্যান করব৷ কিন্তু কল্যাণ কল্যাণ ডাক পাড়ি কল্যাণ গেল কার বাড়ি ? আয় কল্যান দেখে যা বিজেপির ক্ষমতা ৷’
সুকান্ত মজুমদার বলেন,’কল্যান দা আপনি আমাকে তুই-তোকারি করতে পারেন। কিন্তু আমি আপনাকে দাদাই বলব । কোন অসুবিধা নেই৷ কারণ আমাদের নরেন্দ্র মোদী এই শিক্ষা দেয় যে আমাদের রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকবে কিন্তু আমরা শত্রুতাই বিশ্বাসী নই । আমরা জানি কুকুর মুগুরে ভক্ত । রামচরিত মানুসে আছে ভয় ছাড়া প্রেম হয় না।’
সুকান্ত মজুমদার ঝান্ডা এবং ডান্ডার বাড়ি তৃণমূলকে শোনানোর ডাক দিয়ে বলেন, ভেবেছিলাম কল্যাণদা হাতে বন্দুক, কামান-টামান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। দেখতে পেলাম না । আমি রাস্তায় আসতে আসতে বারবার দেখছিলাম কল্যান দা কোথায় ? দেখতে পাচ্ছি না তাকে । কল্যাণদা কল্যাণদা বলে চিৎকার করলাম গাড়ি থেকে কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।’
হুঙ্কারের সুরে তিনি লেন,’কল্যাণদা যদি খেলতে ডাকে তাহলে আমি কর্মীদের বলে দিচ্ছি ভাল করে খেলুন। আমাদের খেলতে ডাকলে আমরা খেলব। আমি খেলতে খুব ভালবাসি। কল্যাণদা যেটা খেলতে চায় সেটাই খেলব। চ্যালেঞ্জ আমি আগেই গ্রহণ করেছি। আমি তো শ্রীরামপুরেই দাঁড়িয়ে আছি। যে চ্যালেঞ্জ করেছিল সে ছুঁ কিতকিত করতে করতে ফুঁস হয়ে গিয়েছে।’ সুকান্ত মজুমদার এদিও স্পষ্ট ভাষায় জানান যে এস আই আর হবেই,কেউ আটকাতে পারবে না ।।

