এইদিন ওয়েবডেস্ক,পূর্ব মেদিনীপুর,১৮ অক্টোবর : রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের এক তরুনী চিকিৎসকের । মৃত চিকিৎসকের নাম শালিনী দাস । হাসপাতালে আনাস্থেসিস্ট ছিলেন তিনি । তার বাড়ি কলকাতার দমদমে। কর্মসূত্রে তিনি মা’কে নিয়ে তমলুক শহরের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন ।
জানা গেছে,হাসপাতালের পাশাপাশি তিনি আনাস্থেসিয়া দিতেন বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিংহোম গুলিতেও । আনাস্থেসিয়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে শুক্রবার সকাল প্রায় ৭ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। প্রথমে যান মহিষাদলের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে৷ এখান থেকে তমলুকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে আসেন । সকাল এগারোটা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরে আসেন ।
জানা যায়,মেয়ে বাড়ি ফেরার পর শালিনী দাসের মা দেখেন তার মেয়ের হাতে চ্যানেল করা হয়েছে । কিন্তু বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় হাতে কোনো চ্যানেল ছিল না বলে তিনি দাবি করেন । এদিকে বাড়ি ফেরার পরই শালিনী হঠাৎ মাটিতে পড়ে যান । আর হাতের চ্যানেল থেকে রক্তপাত শুরু হয় । দ্রুত তাকে ভাড়া বাড়ির পাশে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তমলুক হাসপাতালের স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়৷ সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শালিনী দাসের ।
জানা গেছে,দমদমের শালিনী দাস পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সাব ডিভিশন হাসপাতালে বিগত ৩ মাস ধরে কর্মরত ছিলেন । তার আগে তিনি ২ বছর কর্মরত ছিলেন তমলুক হাসপাতালে । এদিকে একজন সুস্থ তরুনী চিকিৎসকের আকস্মিক মৃত্যুতে রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে । পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে৷ তবে প্রাথমিকভাবে ওই তরুনী চিকিৎসকের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। কীভাবে হাতে চ্যানেল করা হল, তার উপর কী ইনজেকশন বা ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল এবং কেন করা হয়েছি — সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।।

