এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১৫ অক্টোবর : পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের IQ সিটি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী ও উড়িষ্যার বালেশ্বরের ২৩ বছরের তরুনীকে গনধর্ষণ কান্ডের মূল আসামি তার সহপাঠী ওয়াসিফ আলি শেখ। যাকে গতকাল সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । ওয়াসিফ আলি মালদার কালিয়াচক থানার সিলামপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা । এই ধরনের একটা ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তার নাম জড়ানোয় হতবাক হয়ে গেছে গ্রামবাসী ।
আজ বুধবার সাংবাদিকরা ওয়াসিফ আলি শেখের বাড়িতে গেলে বাড়ি তালাবন্ধ দেখতে পায় । ফলে ফিরে আসতে হয় গ্রামবাসীদের৷ তবে গ্রামবাসীরা সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে ওয়াসিফ আলির গ্রেপ্তারিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন । তাদের কথায়, ওয়াসিফ আলি ছোটো থেকেই পড়াশোনায় ভালো। সে বাইরে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত। সে এবং তার পরিবারকে সবাই ভালো চোখেই দেখত । তাই ওয়াসিফ এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কান্ড ঘটাবে তা তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাদের সন্দেহ যে গণধর্ষণ কান্ডে ফাঁসানো হতে পারে । গ্রামবাসীরা এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে ।
গত শুক্রবার রাত্রি ৮টার আশেপাশে সময়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের IQ সিটি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ বিজড়া ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা শেখ রিয়াজউদ্দিন, ফিরদৌস শেখ, নাসিরুদ্দিন শেখ ওরফে সম্রাট, সফিক শেখ এবং বিজড়া বাউড়িপাড়ার অপু বাউড়িকে গ্রেফতার করেছে। উড়িষ্যার জলেশ্বরের বাসিন্দা দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী তাঁর সহপাঠী ওয়াসিফ আলি শেখের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন রাতে খাবার খেতে । কলেজ ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ১ কিমি দূরে মোহনবাগান অ্যাভিনিউ এলাকায় তাকে ঝোপের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে ৫ জন মিলে পাশবিক অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ । ধৃতদের মধ্যে শেখ রিয়াজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেরই নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত। ফিরদৌস শেখ দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী । এই ঘটনায় ওয়াসিফ আলি শেখকেই মূল অভিযুক্ত বলেছেন নির্যাতিতার বাবা । যদিও আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিস কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী দাবি করেছেন, এটি গণধর্ষণের ঘটনা নয়, কেবলমাত্র তার সহপাঠীই ওই মেডিকেল ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছে।’।

