এইদিন ওয়েবডেস্ক,বার্লিন,১৪ অক্টোবর : ছোট্ট একটা শহর । জনসংখ্যা মাত্র ৬,০০০ । এমনই এক শান্ত নির্জন জার্মান শহর ন্যুফেনে কয়েকদিন ধরে একজন আফ্রিকান মুসলিম শরণার্থী ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি করে রেখেছে, বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে । স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে প্রথমে প্রতিরোধ গড়ে তোলে । পরে পুলিশ আসে । বর্তমানে আফ্রিকান ব্যক্তিকে একটি মনোরোগ হাসপাতালে রাখা হয়েছে, কিন্তু একটি পুলিশ সূত্র বিল্ডকে সতর্ক করে বলেছে যে তারা আশঙ্কা করছে যে লোকটি শীঘ্রই আবার মুক্তি পাবে । এবং তার বিকৃতকাম আচরণে আবার মহিলামহলে ত্রাসের সৃষ্টি করবে । এনিয়ে দেশের বামপন্থী সরকারের উদার অভিবাসন নীতিকে দুষছেন জার্মানিরা ।
আলেজান্ডাডার এস. বিল্ড নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদপত্রকে বলেছেন,’লোকটি নগ্ন হয়ে শহরের মধ্য দিয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছিল, গাড়ি ভাঙচুর করছিল এবং কাঁচের দরজায় ধাক্কা দিচ্ছিল, যার পিছনে দোকানদার এবং তাদের গ্রাহকরা নিজেদেরকে ব্যারিকেড করে রেখেছিল।’ আহমেদ এইচ নামে আর এক স্থানীয় ব্যক্তি
পত্রিকাটিকে বলেছেন যে তিনি আফ্রিকান ব্যক্তিকে একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে দেখেছেন। তিনি বলেন,’উলঙ্গ ব্যক্তিটি লোকটিকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং তাকে আঘাত করে। তারপর আমি রাস্তার ট্র্যাফিক সাইনবোর্ড দিয়ে নিজের সুরক্ষা নিয়ে দৌড়ে যাই ।’
পুলিশ না আসা পর্যন্ত আলেকজান্ডার এস. এবং আহমেদ এইচ. লোকটিকে আটকে রাখেন । ওই আফ্রিকান মুসলিম শরণার্থী দীর্ঘদিন ধরে শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছে বলে জানিয়েছেন তারা৷ নগ্ন লোকটির প্রতিবেশী ডার্ক এফ. বলেন,’একদিন দেখি সে আমার দরজার সামনেও নগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। সে বাড়ির মেয়েদের হয়রানি করে এবং ধর্ষণের হুমকি দেয় । আমরা পুলিশকে বারবার ফোন করে ডাকি ।’
আহমেদ এইচ. আরও বলেন যে, লোকটি মূলত শিশুকন্যাদের উপর কুনজর দেয়, যা ভবিষ্যতে খুবই ন্যাক্কারজনক ও আতঙ্কিত করার মত বিষয় । তিনি বলেন,’লোকটি বাচ্চাদের শরীর অশ্লীলভাবে স্পর্শ করে৷ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং তাদের বলে, ‘তোমরা আজ স্কুলে যেতে পারবে না! আমার সাথে চলো ।’
এদিকে যথারীতি জার্মান পুলিশ ওই আফ্রিকান ব্যক্তিকে মানসিক রোগী বলে চালিয়ে দিয়ে ঘটনাটি লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছে । উল্লেখ্য,জার্মানিতে যতবেশি শরণার্থী আসছে ততই একই রকম বিকৃতকামের ঘটনা ঘটেছে৷ বহু অল্প দিনেই মেয়ে ধর্ষিতাও হচ্ছে । কিন্তু দেশের দুর্বল আইনের কারনে তারা কেউ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না ৷ অথচ পুলিশ এবং সরকার প্রায়শই ক্রমবর্ধমান বিশৃঙ্খলার কোনও বাস্তব সমাধান দিতে অক্ষম ৷ এদিকে বামপন্থী সরকারের কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা নীতির কুফল ভোগ করতে হচ্ছে জার্মানিদের ।।

