এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০৭ সেপ্টেম্বর : তৃণমূল পরিচালিত রতুয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অপসারণ ঘিরে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল । জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরাসরি
কুড়ি লক্ষ টাকা কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হলেন অপসারিত সভাপতি সুমিত্রা সরকার । তাঁর অভিযোগ, কাটমানি না দেওয়ায় তাঁকে অপসারনের চক্রান্ত করেছেন জেলা সভাপতি । যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী ।
তৃণমূল পরিচালিত রতুয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির মোট ২৪ টি আসনের মধ্যে ২১ টি আসন তৃণমূলের দখলে । বিজেপির রয়েছে দুটি আসন । অন্যদিকে একটি আসন রয়েছে কংগ্রেসের । দুই বিজেপি সদস্যকে সাথে নিয়ে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন শাসকদলের দলের সদস্যরা । অপসারিত হতে হয় সুমিত্রা সরকারকে । এরপরই সরাসরি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি ।
সুমিত্রা সরকারের অভিযোগ, ‘জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর মদতে বিজেপিকে সাথে নিয়ে অনাস্থা আনা হয়েছিল । সম্প্রতি পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দলীয় প্রতিবাদ সভা হয়েছিল । সেই সময় বিধায়ক তথা ব্লক সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর খুব কাছের এক অনুগামী আমায় বলেছিলেন ২০ লক্ষ্য টাকা দিলে বোর্ডটা বেঁচে যাবে । কিন্তু আমি রাজি হইনি । রাজি হলে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হত না ।’
যদিও অভিযোগ প্রসঙ্গে আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ‘আমরা সভাপতির পক্ষেই ছিলাম । সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । আমরা ওনাকে রাখার জন্য চেষ্টা করেছিলাম । যারা অনাস্থা এনেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে হুইপ জারি করেছিল দল । কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা আদালতে গিয়ে এটা করেছেন । তবে বিজেপিকে নিয়ে করেছে কিনা আমার জানা নেই । তবে এটা কাম্য নয় ।’ পাশাপাশি কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এলাকাবাসী যানেন রহিম বক্সী টাকা চাওয়ার লোক নয় ।’ অন্যদিকে বিষয়টি শাসকদলের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে গেছেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ।।