এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১১ অক্টোবর : শুক্রবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রী তাঁর এক সহপাঠী ছাত্রের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ফাঁকা রাস্তার পাশের জঙ্গলে তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তার ৫ সহপাঠী । রাজ্যে একের পর নারী নির্যাতন ও সর্বশেষ দুর্গাপুরের মেডিকেল কলেজে গনধর্ষণের ঘটনাকে সামনে রেখে আজ শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতার ৬ মুরলীধর সেন লেন রাজ্য বিজেপি কার্যালয়ে “বিশেষ সাংবাদিক সম্মেলন” করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । রাজ্যে নিয়মিত ব্যবধানে নারী নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এরাজ্যের সকল বয়সের নারীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন,’নারী সুরক্ষার দাবিতে আমরা যেমন আন্দোলন করছি তেমন করব । কিন্তু বাংলার মা বোনেরা ঐক্যবদ্ধ হন । রাজনীতি ভুলে, ধর্ম সম্প্রদায় ভুলে পেশা ভুলে ঐক্যবদ্ধ হন । কোন মহিলা বাংলায় মমতা ব্যানার্জির শাসনে সুরক্ষিত নয় । ডালিম মহম্মদের মত হায়নার দল চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে । শিকার খুঁজে বেড়াচ্ছে । মা বোনেরা দেবী দুর্গার ভূমিকা নেন ।’ উল্লেখ্য, ডালিম মহম্মদ হল ৬১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ৷ যাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে ১৩ বছর বয়সী রাজবংশী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে৷
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,’আমরা কয়েকদিন আগে দেবী দুর্গার পূজা শেষ করলাম এবং স্বামী বিবেকানন্দের প্রচলিত কুমারী পূজো করলাম ।দেবীর নটা রূপের রীতি মেনে নবরাত্রি পালিত হলো । তারপরে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজো হলো । এখন আমরা সবাই অপেক্ষা করে আছি শ্যামা মায়ের আরাধনার জন্য । কিন্তু এই রাজ্যের কন্যারা কিভাবে ধর্ষিতা হচ্ছেন লান্ছিতা হচ্ছেন, এই রাজ্যের জনতা জনার্দন দেখছেন এবং গোটা ভারতবর্ষ বাংলা লজ্জা অপদার্থ পুলিশ, মমতা ব্যানার্জি এবং তার রাজত্বকালে পশ্চিমবঙ্গের গরিমা,মর্যাদা,সম্মান এই রাজ্যের বাইরে তথা আমাদের দেশের বাইরে ভুলুন্ঠিত হচ্ছে৷গত বছর ৯ই আগস্ট অভয়ার ইন্সিডেন্টের দিন বা তার পরবর্তী সময়ে অদ্যবধি গোটা পৃথিবীতে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই ডাক্তার বোনের শারীরিক নির্যাতন এবং খুনের ঘটনা ।’
তিনি বলেন,’আমি আপনাদের কাছে দুটো মারাত্মক বিষয় তুলে ধরব৷ একটি তো আজ দুপুরের পর থেকে সব মিডিয়ায় এসে গেছে, দুর্গাপুরের ইনসিডেন্ট । যদিও গতকাল রাত্রি দেড়টা ২ টা থেকে আমরা বিষয়টা জানি এবং আমাদের স্থানীয় যুবকরা অগ্রনী ভূমিকা নিয়েছে ।’ তিনি বলেন,’জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে একটি রাজবংশী পরিবারে যেহেতু নির্যাতিতা এবং তার পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করা যায় না, গ্রামের নাম বেনিয়াপাড়া ফুটকিপাড়া, থানা রাজগঞ্জ, জেলা জলপাইগুড়ি । ক্লাস সেভেনের ছাত্রী, বয়স ১৩ বছর, তাকে ধর্ষণ করে তার যে ক্ষতি করেছে তার নাম হচ্ছে ডালিম মহম্মদ । তার বয়স ৬১ বছর । এই ডালিম মহম্মদ এই ছোট্ট ফুটফুটে কন্যাটিকে শুধু ধর্ষণ করা নয়, মেয়েটি যখন রাজগঞ্জ গ্রামীন হাসপাতালে যায় পেটের ব্যাথা নিয়ে তখন ডাক্তারবাবু তাকে জিজ্ঞেস করেন “মা তোমার এই সর্বনাশ কে করেছে ?” ডালিম মহম্মদ গ্রেপ্তার হয়েছে । কিন্তু এই ডালিম মহম্মদরা রাজ্যের আনাচে কানাচে বেপরোয়া ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।’
শুভেন্দু বলেন,’এই রাজগঞ্জ থেকে খানিকটা দূরে মাটিগাড়াতে দু’বছর আগে ক্লাসের নাইনের ছাত্রীকে সাদ্দাম বলে একটা ছেলে একইভাবে ধর্ষণ করে খুন করেছিল । যার ফাঁসির আদেশ হয়েছে কিন্তু কার্যকর হয়নি । এই রাজ্যে ফাসি কার্যকর তো হয় না । কামদুনির মামলাতেও ১৫ টা আইনজীবী পরিবর্তন করে এই মুখ্যমন্ত্রীর সিআইডি ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মুক্তি দিয়েছেন এবং তাদের বাড়িতে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত পুলিশ ডিস্টিকদের পুলিশকে বসিয়ে রেখেছেন বাড়ি চৌকি দেওয়ার জন্য । তাই কালিয়াগঞ্জের জাভেদ, মাটিগাড়ার সাদ্দাম আর রাজগঞ্জের ডালিম মহম্মদ….।’
শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’দ্বিতীয় ঘটনাটা কত কাল ঘটেছে । দুর্গাপুরের আইকিউ সিটি মেডিকেল কলেজে । দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রী । নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে আমার একাধিকবার কথা হয়েছে । এফ আই আর দায়ের হয়েছে । এই মুহূর্তে বিজেপির কয়েকশো কর্মী এবং বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই,বিধায়ক দিবাকর ঘড়ামি, বিধায়ক নির্মল ধাড়ার নেতৃত্বে থানা ঘেরাও করে আন্দোলন করছে । গতকাল গভীর রাত্রি থেকে আমাদের যুবনেতা পৃথ্বীরাজ, সন্তোষ এবং একাধিক যুবকর্মীরা রাষ্ট্রবাদী যুবকরা প্রতিবাদ সংঘটিত করেছেন । পরিবারের সঙ্গে আমার পৃথ্বীরাজের ফোন থেকে একাধিকবার কথা হয়েছে । এফআইআর হয়েছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো গ্রেফতার হয়নি ।’
তিনি বলেন,’এই রাজ্যে মেডিকেল কলেজ সরকারি হোক বা প্রাইভেট হোক কোথাও কেউই সুরক্ষিত নয়, পুলিশ যে তোলাবাজি করার কাজ আর মিরিকে মমতা ব্যানার্জি যাবেন হীরক রানী, তার পতাকা ঠিক আছে কিনা দেখার কাজ করছেন । কিন্তু এইসব ঘটনা ঘটছে কেন ? লাগাতার ঘটে চলেছে । দুর্গাপূজা, কালী পূজার মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এরা সবাই আমাদের কন্যা সম। এদের কাউকে আমরা সুরক্ষিত রাখতে পারছি না । দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হচ্ছে না । গভর্নমেন্ট সাইলেন্ট । মুখ্যমন্ত্রী সব বিষয়ে কথা বলেন৷ কালীঘাটে জল এলে বলেন ফারাক্কার জল ঢুকেছে কালীঘাটে । ভুটানের জল ঢুকে গেছে পাহাড়ে । যেখানেই জল সেখানেই ডিভিসি । মেয়ো রোডে আর্মিকে তাড়া করতে চলে আসেন। তখন ওনার হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে । শিড্যুল বানাতে হয়না । ফিরহাদ হাকিমরা গ্রেপ্তার হলে তখন ওনার শিড্যুল লাগে না, তিনি নিজাম প্যালেসে এসে বসে পড়েন পাঁচ ঘন্টা । রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই গেলে তখন ওনার শিড্যুল লাগেনা । তখন সব ছেড়ে দিয়ে তিনি ধর্ম তলায় চলে আসেন মুখ্য সচিব কে নিয়ে । উত্তরবঙ্গ ভেসে গেলে তাকে নাচতে হয় এখানে ।’
তিনি বলেন,’কসবা গার্লস কলেজ থেকে অদ্যবধি এই মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণ নিয়ে, বোন-কন্যা-দিদি-নারী নির্যাতন নিয়ে কোনদিন একটা শব্দ তিনি কোথাও বলেননি কেন ? শেষ আমরা শুনেছিলাম অভয়ার ঘটনায় ১৪ই আগস্ট ২০২৪ বেহালাতে, ফিদামেড মিড নাইটের অনুষ্ঠানে “ওর বাবা মা চাইলে তো আমি দশ লাখ দিতেই পারি” । তারপর থেকে ওনার মুখ থেকে কোন কথা শোনা যায়নি ।’
শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’রাজগঞ্জের রাজবংশী পরিবারের এই ছোট্ট কন্যার সর্বনাশকারী ডালিম মোহাম্মদ, মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি চাই । মুখ্যমন্ত্রীর এখানকার যে মহিলা কমিশন, শিশু রক্ষা কমিশন, কয়লা ভাইপোর ছেলে বলে দিয়েছিলাম বলে আমাকে তিনবার নোটিশ করেছিল । লেডি কিম বলা হয়েছিল বলে আমাকে ডাকা হয়েছিল, হাইকোর্ট পর্যন্ত গেছি আমি । সেখানে রাজ্যের শিশুর রক্ষা কমিশন বলেছিলেন যে উনি লেডি কিম মানে মমতা ব্যানার্জিকে বলেছেন এবং কয়লা ভাইপো মানে অভিষেক ব্যানার্জিকে বলেছেন৷ আমি বলিনি এখানকার যিনি চেয়ারপার্সন আছেন তার আইনজীবী বলেছিল কলকাতা হাইকোর্টে ।’
তিনি বলেন,’একজন এমবিবিএস এর ছাত্রী এবং একজন স্কুলের ছাত্রীর ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে । শিশু সুরক্ষা কমিশন, মহিলা কমিশন, মুখ্যমন্ত্রী তার পুলিশ কথায় কথায় প্রেস কনফারেন্স যারা করে সুপ্রতিম সরকার, জাভেদ শামিম, এরা কোথায় ? এদের কেন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না ? তৃণমূলের তোলাবাজিতে নিজেদের মধ্যে মারপিট হলে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হয় । সিট গঠন হয় । এ ক্ষেত্রে সাইলেন্ট কেন সরকার, ভারতীয় জনতা পার্টি জানতে চায় । বিরোধী দলনেতা প্রশ্ন করতে চায় পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে ।’
এরপর দুর্গাপুরের ঘটনা এই নির্যাতিতার বাবার বক্তব্যের ভিডিও কম্পিউটার ক্রিনে চালানো হয় । এখানে নির্যাতিতার বাবা প্রধান অভিযুক্তের নামটি প্রকাশ করেন । শুভেন্দু অধিকারীর নামটা পুনরায় শোনার জন্য ভিডিওটি রিপিট করার নির্দেশ দেন । শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’ওটাও ডালিম মহম্মদ ।’
ভিডিওতে নির্যাতিতার বাবাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার মেয়ে আইপিসিটি কলেজে সেকেন্ড ইয়ারে পড়তো । ওদের একটা বন্ধু আসিফ আলী বলে ছেলে আছে ও বললো আজকে গুচ্ছু খাব এখানে চলো । বললো ২০০ টাকা নিয়ে আয় । যখন ২০০ টাকা নিয়ে এল, ওকে তিনজন ছেলে ফলো করতো, প্রথমে একজন রেপ করলো…..।’ এরপর শুভেন্দু অধিকারী এফআইআর এর কপিটা দেখিয়ে বলেন, দেখুন এফআইআর এর কপি । নো এরেস্ট । পুলিশ টাকা তোলা আর মুখ্যমন্ত্রী আর তার ভাইপো কোথায় যাবেন, কোথায় ফুচকা খাবেন, কোথায় নাচবেন, গাইবেন সেই কাজে ব্যস্ত পুলিশ ।’
প্রসঙ্গত,২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাস জেলায় চারজন পুরুষ কর্তৃক ১৯ বছর বয়সী এক দলিত তরুনীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে । এই ঘটনার প্রতিবাদে ওই বছর ৩ অক্টোবর কলকাতার বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের সামনে থেকে গাঁধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মমতা ব্যানার্জি । এছাড়া তৃণমূলের মহিলা সাংসদ ও টালিগঞ্জের অভিনেত্রীসহ ১১ জনের প্রতিনিধি দল উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে গিয়েছিলেন । সেই দলে ছিলেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দী রায়, প্রতিমা মন্ডল, মালা রায়, সাজদা আহমেদ,মহুয়া মৈত্র, মিতালী বাগ, সায়নী ঘোষ, রচনা ব্যানার্জি, জুন মালিয়া এবং শর্মিলা সরকার ।
সেকথা উল্লেখ করে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’কোথায় গেছেন বাংলার বাঘিনীরা ? মিছিল করেন কথায় কথায় “কেন্দ্রীয় সরকার জবাব দাও” ? হাথরাসে টিম যারা পাঠিয়েছিলেন, তারা কখন রাজগঞ্জ এবং দুর্গাপুরের টিম পাঠাচ্ছেন ? জানতে চাইছে বাংলা৷ কখন মাননীয়াদের টিম যাচ্ছে ? ত্রিপুরায় টব উল্টে গিয়েছিল, চলে গেছেন । কখন যাচ্ছেন দুর্গাপুর আর রাজগঞ্জে ? জানতে চায় পশ্চিমবাংলা ।’
তিনি বলেন,’কসবা ল কলেজের পরে প্রদেশ বিজেপির পক্ষ থেকে আমি ১৪ টা কন্যা সুরক্ষা যাত্রা করেছি। কন্যা সুরক্ষা যাত্রা কেন প্রয়োজন আজকে প্রমাণ হয়েছে । মা-বোন-দিদি-কন্যারা যদি জোট বেঁধে এই পশ্চিম বাংলার পুলিশকে, দলদাসে পরিণত হওয়া পুলিশ, মমতা পুলিশে পরিণত হওয়া পুলিশ , এদেরকে সরাতে গেলে মমতা ব্যানার্জিকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরাতে হবে । ফর্মুলা একটাই উত্তর প্রদেশ । ফর্মুলা একটাই চন্দ্রবাবু নাইডু । ফর্মুলা একটা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা । ফর্মুলা একটাই দেবেন্দ্র ফড়নবিশ । জমা নাও আর খরচ কর ।’
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন যে এ রাজ্যে কোন ধর্ষকেরই শাস্তি হয় না৷ তিনি বলেন,’যে কটা নাম বললাম তাদের একজনেরাও শাস্তি হয়েছে ? কুলতলী, চন্দননগর, মাটিগাড়া, কালিয়াগঞ্জ, কামদুনির ফাঁসির আদেশকে তো বেল করে দিয়েছে । হাঁসখালি তো সিবিআই করছে বলে জেলে আছে । আমি অপরাজিতা বিলের উপর নাম পড়ছিলাম স্পিকার বাধা দিয়েছিল । কে শাস্তি পেয়েছে ? এই ডালিম মহম্মদের থামাবেন কি করে ? এই ওয়াসিম আলীদের থামাবেন কি করে ? আপনি যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন, উত্তরপ্রদেশ থামাচ্ছে কি করে ? এত বড় একটা রাজ্য যার ৭৫ টা জেলা, কুড়ি কোটি জনসংখ্যার রাজ্য । থামাচ্ছে কি করে ? আমরা দুটো ঘটনাই ছাড়বো না । ইতিমধ্যে দুর্গাপুরে পথে নেমেছে বিজেপির কর্মীরা । গতকাল থেকেই পরিবারের সঙ্গে আছে । রাজগঞ্জের ক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতা নারায়ণ মন্ডল সম্পূর্ণ বিষয়টা দেখভাল করছেন । আমাদের সমস্ত টিম যাচ্ছে পরিবারের পাশে দাঁড়াবে । প্রতিবাদ, আন্দোলন, আইনি সাহায্য যা যা করার আমরা করব । সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটা তৃণমূলের এই ন্যাক্কারজনক এই যে একটার পর এক ঘটনা এটা নিয়ে সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফকে পাবেন না । আমাদের জোর করে গিয়ে বাইট চাইতে হবে। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি গতকাল রাত্রে একটা থেকে নির্যাতিত পরিবার পৌঁছানোর আগে পৌঁছেছে । আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো, আমাদের মহিলা মোর্চাও নামবে।’
সব শেষে তিনি বলেন,’মমতা ব্যানার্জিকে প্রাক্তন করাই হচ্ছে একমাত্র সলিউশন, নইলে কোনদিন এসব থামবে না, কামদুনি থেকে দুর্গাপুর নন স্টপ, কখনো কাকদ্বীপে গিয়ে বলেছিলেন ফুল রেপে কুড়ি হাজার, হাফ রেপে দশ হাজার৷ কখনো কামদুনিতে বলেছেন ছোট্ট ঘটনা, কাটোয়ার ঘটনায় বলেছিলেন শরীর থাকলে যেমন জ্বর হয় একটু আধটু রেপটেপ হয় । অভয়ার বাবা মাকে লোভ দেখিয়েছিলেন ১০ লাখ তো দিতেই পারি । এই ধর্ষকদের বাড়বাড়ন্ত, ভাবতে পারেন ১৩ বছরের মেয়েকে অন্তঃস্থতা করে দিয়েছে ডালিম মোহম্মদরা । ডাক্তার বলছে মা তোর এমন সর্বনাশ কে করল। ভাবা যায় ? কোন রাজ্যে বসবাস করছি আমরা ?’

