এইদিন ওয়েবডেস্ক,জলপাইগুড়ি,০৯ অক্টোবর : গত ৬ অক্টোবর জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্সের নাগরাকাটার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপির উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। তাদের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা৷ গুরুতর আহত সাংসদ খগেন মুর্মু এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ ওই হামলার ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ ধৃতদের মধ্যে আকরামুল হক, গোবিন্দ শর্মা এবং শাহানুর আলমকে আজ বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়৷ চতুর্থ ধৃত তোফায়েল হোসেনকে শুক্রবার আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গেছে৷
এদিকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন যে প্রকৃত আসামিদের ছেড়ে দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে তৃণমূল । আজ দুপুরে কলকাতায় বিধানসভার সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘৭২ ঘন্টা হতে চললো,এফ আই আর-এ নাম থাকা একটা লোকও গ্রেপ্তার হয়নি । এর থেকে লজ্জার কি আছে ? যেগুলোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের কারোর নাম এফ আই আর-এ নেই৷ তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলে বন্দোবস্ত করে ওদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ । তৃণমূল ওইগুলোকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে । কারন পুলিশ জানে যে একদিকে এসটি কমিশন, অন্যদিকে স্পিকারের চাপ আছে ।
তিনি বলেন,আজকে ভ্যাকেশন বেঞ্চে মহামান্য বিচারপতি ওমনারায়ন রাইয়ের বেঞ্চে এই মামলা এন আই এ অথবা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের জন্য শুনানি চলছে৷’ তিনি বলেন,’পুলিশ ৭২ ঘন্টা কোনো কাজ করেনি । এফ আই আরে নাম থাকাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাই যেখানে গেলে মূল অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয় সেটাই করা হয়েছে ।’
এর আগে শুভেন্দু অধিকারী চার মূল অভিযুক্তের ছবিসহ নাম প্রকাশ্যে আনেন । তার উল্লিখিত ওই চার অভিযুক্ত হল : রমজান আলী,সৈফুল হক,আইনুল আনসারি ও পিঙ্কি খাতুন । তাদের মধ্যে পিঙ্কি খাতুন স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান বলে জানান রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ।।

