এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,০৯ অক্টোবর : স্বামী পেশায় স্বর্ণকার । রয়েছে বছর পনেরোর এক মেয়ে । মোটামুটি স্বচ্ছল পরিবার । সুখের সংসার । কিন্তু দুই সন্তানের পিতা এক এক সন্তানের জননীর সাথে দুই সন্তানের জনকের পরকীয়া : ভেঙে গেল ১৬ বছরের সুখের সংসার, ভিলেন সেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়,প্রেম ও পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়েন বধূ ৷ স্বামী ও ছেলের অনুপস্থিতিতে প্রায় দিনই প্রেমিকের সঙ্গে নিজের বাড়িতে উদ্যাম যৌনতায় মেতে উঠতেন তিনি । মনে সন্দেহ তো ছিলই, তাই স্ত্রীর পরকীয়া ধরতে তক্কেতক্কে ছিলেন স্বামীও । আর ঘটনাচক্রে দু’জনকে হাতেনাতে ধরেও ফেলেন তিনি । তারপর ভেঙে গেল দীর্ঘ ১৬ বছরের সুখের সংসার । সোশ্যাল মিডিয়া আর স্মার্টফোনের নেশা বাংলাদেশের যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নের হরিদাসকাঠি গ্রামের কর্মকার পাড়ার ওই পরিবারটিকে ছাড়খাড় করে দিয়েছে এক লহমায় ৷
জানা যায়,হরিদাসকাঠি গ্রামের কর্মকার পাড়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তির হাজিরহাট বাজারে জুয়েলার্সের ব্যবসা রয়েছে । তার সংসার বলতে স্ত্রী ও বছর পনেরোর এক কন্যা । প্রায় দেড় মাস আগে রাকেশ হৃদয়কে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় ওই ব্যক্তির স্ত্রীর বন্ধুত্ব । এরপর ধীরে ধীরে ফোনে কথোপকথন ও চ্যাটের মাধ্যমে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। দুর্গোৎসব চলাকালীন সময়ে ঘটনার সূত্রপাত ।
জানা গেছে,হাজিরহাট পূজা মণ্ডপে চলমান উৎসবের সুযোগে গত শনিবার রাতে ওই গৃহবধূ তার প্রেমিক রাকেশ হৃদয়কে নিজের বাড়িতে ডেকে আনেন । কিন্তু বিষয়টি টের পেয়ে যান তার স্বামী। রাত প্রায় ১২টার দিকে ঘরে প্রবেশ করে স্ত্রী ও প্রেমিককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে স্বামী ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেন । পরেরদিন সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তালা খুলে দুজনকে বের করা হয়। এরপর এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে শুরু হয় উত্তেজনা ও মারপিটের ঘটনা। উপস্থিত ছিলেন হাজিরহাট পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিকাশ রায়, হরিদাসকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নবিরুজ্জামান আজাদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। বসে সালিসি সভা ।
তবে সালিশিসভায় গৃহবধূ জানিয়ে দেন, তিনি আর স্বামীর সঙ্গে সংসার করবেন না, বরং প্রেমিক রাকেশ হৃদয়কে বিয়ে করতে চান। অপরদিকে স্বামী বলেন, ‘আমি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি, আমি এই কলঙ্কিনী নারীর সঙ্গে আর সংসার করতে চাই না।’ পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উভয় পরিবারের অভিভাবকদের ডেকে এনে মীমাংসা করেন। রাকেশ ও গৃহবধূসহ সংশ্লিষ্টরা এক লিখিত সম্মতিপত্রে (স্ট্যাম্পে) স্বাক্ষর করেন এবং অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন,’ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।’ এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, প্রযুক্তির অপব্যবহার ও ফেসবুক আসক্তিই আজ সমাজে অশান্তি ও পারিবারিক ভাঙনের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।।

