এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাবুল,০৭ সেপ্টেম্বর : সোমবার তালিবান বিরোধীদের নিয়ন্ত্রনে থাকা পঞ্জশির প্রদেশ দখলের দাবি করেছিল তালিবান । কিন্তু পঞ্জশিরে ন্যাশনাল রেজিট্যান্স ফ্রন্ট (উত্তরের জোট) যে হাল ছেড়ে দেয়নি,ফের তার প্রমান পাওয়া গেল ।পঞ্জশির দখলের দাবি করার পরের দিনেই তালিবানদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালালো অজ্ঞাত যুদ্ধবিমান । পাশাপাশি এই উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে লাগাতার গুলি বারুদের লড়াই চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে । উত্তর জোট দাবি করেছে যে যুদ্ধ এখনও জারি রয়েছে । জীবন থাকতে তালিবানের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন জোটের নেতৃত্বরা ।
ন্যাশনাল রেজিট্যান্স ফ্রন্ট (উত্তরের জোট) এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ ও আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদ । আফগানিস্তানের অধিকাংশ প্রদেশের দখল নেওয়ার পরও পঞ্জশিরে উত্তরের জোটের কড়া প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে তালিবানিদের । সোমবার তালিবান যোদ্ধারা দাবি করেছিল যে তারা পঞ্জশিরের আটটি জেলা দখল করেছে । বিপুল সংখ্যক তালিবান যোদ্ধারা পঞ্জশিরে প্রবেশ করেছে ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে নির্মূল করেছে বলে দাবি করে । তালিবানরা গভর্নরের কার্যালয়ের বাইরে তাদের পতাকাও উত্তোলন করে । মাসুদের বাড়ি দখলের ছবি-ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল তালিবান ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঞ্জশির নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে তালিবানরা পাকিস্তানের বিমানবাহিনী এবং ড্রোনের ভরপুর সাহায্য পেয়েছে । যার ফলে পঞ্জশিরের আটটি জেলা রাতারাতি দখলে আনতে সক্ষম হয় তালিবানরা । এদিকে গত শনিবার আইএসআই প্রধান ফয়েজ হামিদ কাবুল পৌঁছে তালেবানদের সঙ্গে অভিযানে যোগ দিয়েছেন বলে খবর । রবিবার ব্যাপক বোমাবাজির পর শেষ পর্যন্ত পঞ্জশির তালিবানের দখলে আসে । খবর আসে উত্তরের জোটের মুখপাত্র ফাহিম দাশতি-সহ একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ।
তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন, আফগানিস্তানের ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (এনআরএফএ) প্রধান আহমেদ মাসুদ এবং প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ প্রতিবেশী দেশ তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছেন ।’ যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন সালেহ । এক ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেছেন, তিনি পঞ্জশিরেই রয়েছেন । এদিকে উত্তরের জোটের অন্যতম প্রধান মুখ আহমেদ মাসুদ দাবি করেছেন,পাঞ্জশিরের যোদ্ধারা একটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে । পাশাপাশি তিনি তালিবানের উদ্দেশ্যে হুঙ্কার দিয়েছেন, ‘উত্তরের জোট শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত চালিয়ে যাবে ।’।