এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৭ অক্টোবর : জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটায় মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলা তৃণমূল করেনি, করেছে তৃণমূলের আরএসএস- এমনই অদ্ভুত দাবি করেছেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম । সেলিমের বক্তব্যের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেছেন, ‘ওরা আপনার খালা তুতো ফুুফা তুতো ভাই,আরএসএস নয়’ ।
সোমবার জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটার বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ দিতে যাওয়া মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক আহত শঙ্কর ঘোষের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদল । ব্যাপক পাথরবাজির পাশাপাশি সাংসদ ও বিধায়ককে পিছন থেকে ধাক্কাধাক্কি ও জুতো ছোড়ে দুষ্কৃতীরা । সেই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন খগেন মুর্মু । পাথরের আঘাতে তার বাম চোখের নিচে হাড় ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে । আহত হন শঙ্কর ঘোষও । তিনিই সাংসাদকে রক্তাক্ত ও অর্ধ অচেতন অবস্থায় মাটিগাড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন । একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন শঙ্কর ঘোষও । তার ডান হাতে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে জানা গেছে । গতকাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান যে তিনি আজ মঙ্গলবার মাটিগাড়ায় যাবেন এবং গুরুতর আহত সাংসদ খগেন মুর্মুকে দিল্লির এইমসে পাঠানোর ব্যাবস্থা করবেন । তার আগে তিনি হামলাকার মুহুর্তের ভিডিও ও হামলাকারীদের নামও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন । তার উল্লিখিত চার হামলাকারীর নাম হল : রমজান আলী,সৈফুল হক,আইনুল আনসারি ও পিঙ্কি খাতুন ।
এদিকে গতকাল সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা মহম্মদ সেলিম একটা অদ্ভুত দাবি করেছেন । সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন, ‘ওখানে অনেক বিজেপি নেতারা গিয়েছিলেন । কিন্তু নট আরএসএস বিজেপিকে আক্রমণ করেছে । কারা করল তাহলে ? তৃণমূল করলো । পুলিশের সামনে করল । পরিকল্পিত ভাবে করল । কিন্তু দেখা যাচ্ছে আরএসএস পরিচালিত সংস্থাগুলি কাজ করবে, সে বিজেপি হোক সে তৃণমূল হোক, সে এনজিও হোক । খগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষের উপর আক্রমণ হয়েছে । ওখানে তো আমি চাইনা অন্যদের উপর আক্রমণ হোক, কিন্তু বাকিরাও তো ছিল । তাহলে টার্গেটেড । কারা করলো এটা ? তৃণমূলের মধ্যে যে আরএসএস আছে, নাকি বিজেপির মধ্যে যে আরএসএস আছে, না পুলিশের মধ্যে যে আরএসএস আছে ?’
এরপর তিনি বলেন,’কেন বললাম আরএসএস ? এই যে জাতির নামে, ধর্মের নামে এই যে ঘৃণা ছড়াচ্ছে প্রতিদিন এবং মব সাইকোলজি তৈরি করছে । তৃণমূল তো তাই করেছে । তৃণমূলের উত্থানের সময়, জন্মলগ্ন থেকে আরএসএসের সঙ্গে ছিল ।’ সেলিমের কথায়,’জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটায় কেন বলছ ? গোটা দেশে এই সংস্কৃতি কে আবিষ্কার করেছে ? কাদের পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে ?’
প্রতিক্রিয়ায় সজল ঘোষ লিখেছেন,’নাটাবাড়ি বিধানসভার বলরামপুর এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগোস্ত সাধারণ মানুষের পাশে থাকা এবং সাহায্য করার জন্য ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে তোলামূলের হার্মাদ দাঁরা আক্রান্ত বিজেপি কর্মী উজ্জ্বল কান্তি বসাক মহাশয়।’
এরপর তিনি মহম্মদ সেলিমকে নিশানা করে বলেন, ‘স্বভাব যায় না মরলে,দুজন জনপ্রতিনিধি আক্রান্ত রক্তাক্ত হলেন ত্রান বিলি করতে গিয়ে,মুখ ফুটে একবারও তৃণমূলের নিন্দাও করলেন না, দোষীদের শাস্তির দাবি তো দূরের কথা,(ম্যাডাম যদি চোটে যায়), উল্টে বোঝাতে চাইলেন তৃণমূলে থাকা RSS এর লোকেরা যারা RSS নয় এমন BJP এর লোকেদের মেরেছে, কিন্তু যারা মেরেছে স্পষ্টত দেখাই যাচ্ছে তারা আপনার খালা তুতো ফুুফা তুতো ভাই,এরা আবার কবে RSS হলো ? মানুষ বুঝতে পারছে কার সাথে কার আঁতাত ।’।