এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৬ অক্টোবর : প্রতিটি পূজোয় সব ধরনের ফুলের চাহিদা তুঙ্গে ৷ দামও আকাশ ছোঁয়া হয় । বিশেষ করে দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজায় পদ্মফুলের চাহিদা বেশি দেখা যায় । এলাকার ফুলব্যবসায়ীরা এই দু’ই উৎসবে পদ্মফুল বিক্রি করে জমিয়ে লাভ করে । কিন্তু আজ সোমবার ঠিক সকালেই আশপাশের গ্রাম থেকে কয়েকজন উটকো বিক্রেতা শহরের ফুটপাতে ঝুঁড়ি করে পদ্মফুল অল্পদামে বিক্রি করতে শুরু করলে স্থায়ী ফুল ব্যবসায়ীরা তাদের উপর চড়াও হয় । ফুলের ঝুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া স্টেশনবাজার এলাকা । খবর পেয়ে পুলিশ আসে । আক্রান্ত বিক্রেতারা থানায় অভিযোগও দায়ের করেন । তারা পুলিশের কাছে জানান যে এই প্রথম নয়,প্রায়শই তারা স্থায়ী ফুল ব্যবসায়ীদের হেনস্থার শিকার হন । অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
জানা গেছে,কেতুগ্রাম থানা এলাকার কিছু দরিদ্র মানুষ লিজে পুকুর নিয়ে পদ্মফুলের চাষ করেন । পুজোর মরশুমে তারা কাটোয়া শহরে এসে ফুটপাতে বসে পদ্মফুল ও পাতা বিক্রি করেন। শুধু কেতুগ্রাম নয়, পাশ্ববর্তী নদিয়া জেলা থেকেও কয়েকজন ফুলবিক্রেতা স্টেশনবাজারে পদ্মফুল বিক্রি করতে আসেন। এরকম ১০-১২ জন ফুল বিক্রেতা রয়েছেন যাঁরা পুজোর মরশুমে কাটোয়া শহরে ফুটপাতে বসে ফুল বিক্রি করেন। তাদের ফুলের দাম তুলনামূলক ভাবে কম হওয়ায় ক্রেতারাও উপকৃত হন । কিন্তু কাটোয়া শহরের স্থায়ী ফুল ব্যবসায়ীরা মেনে নিতে পারছিলেন না । আক্রান্ত বিক্রেতা সঞ্জয় দাস, সুদেব দাসদের কথায়, ‘ফুলের প্রকৃত দাম সম্পর্কে সচেতন নন ক্রেতারা । আর সেই সুযোগে চুটিয়ে দাম নেয় শহরের স্থায়ী ফুল ব্যবসায়ীরা । কিন্তু আমরা ন্যায্যমূল্যে ফুল বিক্রি করায় ওদের একচেটিয়া ব্যাবসা বন্ধ হয়ে যায়৷ এই কারনে আমাদের এই বলে শাসায় যে ফুলবিক্রেতা ইউনিয়নের সদস্য না হলে ফুল বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু তাদের এই অন্যান্য দাবি আমরা মেনে নিতে পারিনি বলে আজ আমাদের হেনস্থা করা হয় ।’
জানা যায়,আজ লক্ষ্মীপূজার বাজার ধরতে কাকভোরে কাটোয়া স্টেশন বাজারে ফুটপাতে ঝাঁকা নিয়ে বসে পদ্মফুল ও পাতা বিক্রি করতে শুরু করেন কেতুগ্রাম ও নদীয়ার কয়েকজন বিক্রেতা । তখন স্থায়ী ফুল বিক্রেতারা এসে তাদের উঠে যেতে বললে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা । এমনকি ফুলের ঝাঁকা ধরে টানাটানিও চলে । অনেক লোকজন জড়ো হয়ে যায় । স্থানীয় ক্রেতারাও শহরের স্থায়ী ফুল ব্যবসায়ীদের এই প্রকার জুলুমবাজি মেনে নিতে পারেননি । শেষে পুলিশ এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।।