এইদিন বিনোদন ডেস্ক,০৫ অক্টোবর : ইংরাজি সাপ্তাহিক পত্রিকা ব্লিটজের সম্পাদক সালহা উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী জানিয়েছেন,’কিছুদিন আগে, জামাত ইসলামির নায়েবে-ই-আমীর নিউইয়র্ক সিটিতে এক সমাবেশে বলেছিলেন, তাদের কমপক্ষে ৫০ লক্ষ তরুণ ভারতের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করবে। আজ তারা ঢাকায় ইসরায়েল বিরোধী সমাবেশে গর্বের সাথে আল-কায়েদার পতাকা উড়িয়েছে।’ এই খবর তিনি গত ৩ অক্টোবর এক্স-এ জানিয়েছিলেন । শুধু তাইই নয়, শেখ হাসিনাকে উৎখাতের পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ইসলামি কট্টরপন্থী দলগুলি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে ব্যাপক পরিমানে ভারত বিদ্বেষ বেড়ে গেছে । এত কিছুর পরেও পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বাংলাদেশের প্রতি “প্রেম” কিছুতেই কমছে না । তারই নির্দশন দেখা গেল শনিবার(৪ অক্টোবর) দুর্গাপুরের চতুর্থ বর্ষের কার্নিভালে ।
প্রধান অতিথি হিসাবে মঞ্চ আলো করে বসেছিলেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসান। মঞ্চে বসে অভিনেত্রীর সাথে খোশ মেজাজে গল্প করতে দেখা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ ও জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে । এদিকে বাংলাদেশের সাথে উত্তেজনার মাঝে অভিনেত্রী জয়া আহসানকে আমন্ত্রণ জানানোর তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিজেপি । বাংলাদেশি অভিনেত্রীকে “গো ব্যাক শ্লোগান দেয় তারা । পোড়ানো হয় অভিনেত্রীর ছবি । পাশাপাশি দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের দফতরের সামনে এবং এসডিও বাংলোর সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করে বিজেপি কর্মী ও নেতৃত্বরা।
বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,’একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট করতে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল । রাজ্য সরকারের পুজো কার্নিভালের মঞ্চে এক বাংলাদেশী নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন ও নিন্দনীয় কাজ । রাজ্যের নিজস্ব শিল্পী-সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে বাইরে থেকে তারকা এনে গ্ল্যামার দেখানো মানে বাংলার শিল্পীদের অপমান।’ তিনি বাংলাদেশি অভিনেত্রীর ভারতীয় পাসপোর্ট ও ভিসা বাতিলের দাবিও জানান৷ অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘শিল্পির কোনো ধর্ম হয়না । বাংলার সংস্কৃতিকে বিজেপি বারে বারেই কালিমালিপ্ত করছে। বাংলার মানুষ এর বিচার করবেন ।’
কিন্তু শুধু বিজেপি নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও দুর্গাপূজার কার্নিভালে বাংলাদেশি অভিনেত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর সমালোচনা হচ্ছে । একজন এক্স ব্যবহারকারী বাংলাদেশি অভিনেত্রীর সাথে সাংসদ কীর্তি আজাদ ও তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর খোশ মেজাজে গল্প করার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,’শত শত প্রতিভাবান বাঙালি শিল্পী বেরিয়ে আসার পরও তৃণমূল কংগ্রেস দুর্গাপুর পুজো কার্নিভালে বাংলাদেশি জয়া আহসানকে নিয়ে এসেছে। তৃণমূল কংগ্রেস কী বার্তা দিতে চাইছে? বাংলাদেশি শিল্পীদের প্রতি এত ভালোবাসা কেন? তৃণমূল কংগ্রেস কেন স্থানীয় প্রতিভাবান বাঙালি তরুণদের এগিয়ে দিতে পারে না? কেন এত ঘৃণা?’