প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০১ অক্টোবর : দুর্গা পুজোর মণ্ডপে বিপ্লবী যতীন দাস বনে গেছেন বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত। পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের একটি দুর্গাপুজো মণ্ডপে বিপ্লবীদের ছবির নিচে ভুল নাম পরিচয় দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। মণ্ডপে স্বাধীনতা সংগ্রামী ও দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের ছবি টাঙানো হলেও গুরুতর ভুল হয়ে যায় এক জায়গায়। ছবির নিচে বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের নাম লিখে দিয়ে নীচে টাঙানো হয় অন্য বিপ্লবী যতীন দাসের ছবি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন খোদ বটুকেশ্বর দত্তের কন্যা ভারতী দত্ত বাগচী। তাঁর প্রশ্ন— “ইনি কি বটুকেশ্বর দত্ত? ছবিতে যাকে দেখানো হয়েছে তাঁকে আদৌ চেনেন পুজো উদ্যোক্তারা?”
সরব হয়েছেন বটুকেশ্বর দত্ত স্মৃতি রক্ষা কমিটির সদস্যরাও। কমিটির সম্পাদক মধুসূদন চন্দ্র জানান, তিনি বিষয়টি জানতে পারার পরই বর্ধমান উত্তর মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাসকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি বর্ধমান-২ নম্বর ব্লকের বিডিও দিব্যজ্যোতি দাসকে জানানো হয়।
অভিযোগ আসার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেয় পুজো উদ্যোক্তা বড়শুল ইয়ং মেনস ক্লাব। ক্লাব সম্পাদক অরুণাভ সাহা বলেন,’আমাদের অজান্তেই ভুল হয়েছে। জানতে পারার আধ ঘণ্টার মধ্যেই নাম পাল্টে দেওয়া হয়েছে। এখন ছবির নীচে সঠিকভাবে যতীন দাসের নাম লেখা আছে। আমরা মধুসূদনবাবুকেও জানিয়েছি। এই ভুলের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
সরকারি অনুদানে গড়া পুজো প্যান্ডেলে এমন ভুল তথ্য পরিবেশন ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চর্চা। ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের সঠিক পরিচয় তুলে ধরার প্রশ্নে গাফিলতি কেন— সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।কেন ইতিহাসের বিকৃতি ? বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তকে যারা চেনে না তাদের সরকারী অনুদান কিসের জন্য প্রশ্ন তুলেছেন বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত’র কন্যা। তিনি লিখছেন : “Kolkata people think themselves very much intelligent….rather most intelligent and educated than any other states in India…How can they commit such a blunder showing up picture of Rev Jatin Das with the name written Batukeshwar Dutta (in Bengali ) in a puja pandal …Nobody to rectify it …SHAME… ….these people cannot even recognise the faces of such great patriots…who sacrificed their whole life for a great cause …..D/O Rev Batukeshwar Dutta …Bharati Bagchi.”