এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),২৯ সেপ্টেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরার স্কুল শিক্ষকের তৈরি ১৯×১৯ বর্গ ইঞ্চির শুভ্র বর্ণের দেবী দুর্গার মূর্তি আজ এলাকার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে । দেবীর দু’পাশে লক্ষ্মী আর সরস্বতী এবং নিচে রয়েছেন মহিষাসুর । মহিষাসুরের দু’পাশে কার্তিক ও গনেশ । তবে মূর্তিটি পূজোর জন্য নয় । গুসকরা শহরের শিরীষতলা এলাকার বাসিন্দা তপন দাস নামে ওই স্কুল শিক্ষকের তৈরি এটি মডেল দুর্গা । আপাতভাবে এই মডেল দুর্গা মূর্তির মধ্যে তেমন কোনো বিশেষত্ব দেখা না গেলেও মূর্তিটি তৈরির উপকরণের নাম শুনে চমকে যাচ্ছেন প্রতিবেশীরা । কারন এই মডেল দুর্গামূর্তি তৈরি করতে তপনবাবু ব্যবহার করেছেন ওষুধের খালি প্যাকেট এবং বাতিল এক্সরে প্লেট ।
ভাতার থানার রায়রামচন্দ্রপুর নীরদবরণ বিদ্যাপীঠ স্কুলে শিক্ষকতা করেন তপন দাস । ভিন্ন থানা হলেও তপনবাবুর বাড়ি থেকে স্কুলের দুরত্ব বেশি নয় । শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন মডেল বানানো হল তার শখ । তবে তিনি উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেন ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র । বাচ্চাদের খাবারের প্যাকেট, ট্যাবলেট ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া পাতা, সুতলি, সুতো ইত্যাদি দিয়ে আগেও দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করেছিলেন তিনি । এর আগে বাতিল জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি করেছিলেন দক্ষিনেশ্বরের মন্দির , কেদারনাথ মন্দির, হাজারদুয়ারি, আবাসন, কার্জনগেট ইত্যাদি নানান ধরনের মডেল চলতি দুর্গোৎসবের মাস খানেক আগে ওষুধের খালি প্যাকেট এবং বাতিল এক্স রে প্লট দিয়ে মডেল দুর্গামূর্তি তৈরির কাজে হাত লাগান তিনি । মহাষষ্ঠীর আগেই মডেল তৈরি করে ফেলেছেন তিনি । প্রতিবেশীরা জানতে পেরে তার এই মডেল দুর্গার মূর্তি দেখতে ছুটে আসছেন । সেই সাথে স্থানীয় কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া মডেল তৈরি শেখানোর জন্য তার কাছে আব্দারও করেছে বলে জানান ওই শিক্ষক ।।