এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৫ সেপ্টেম্বর : শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য পুলিশের নতুন বীজগাণিতিক সূত্র সামনে নিয়ে এলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর কথায় “পুলিশ গ্রেটার দ্যান ইক্যুয়াল টু তৃণমূল ক্যাডার” (পুলিশ ≥ তৃণমূল ক্যাডার) । তিনি এটাও মনে করছেন যে পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ না থাকলে তৃণমূল দলটারই কোনো অস্তিত্ব থাকবে না । কিন্তু হঠাৎ এই নতুন বীজগাণিতিক সূত্র তিনি আবিষ্কার করলেন কিভাবে ?
বিরোধী দলনেতার এক্স হ্যান্ডেল থেকে যেটা জানা গেছে যে সূত্রটি রাজ্যের কোনো এক জায়গায় মহিলাদের ডেকে তাদের মধ্যে সাদা পোশাকের পুলিশের নতুন বস্ত্র বিতরণের পর তাঁরা মাথায় এসেছে । তিনি জানান যে কলকাতার ভবানীপুর এলাকার একটি ক্লাবে স্থানীয় এসিপি শান্তনু সিনহা বিশ্বাস বস্ত্র বিতরণ করেছেন এবং তিনি একে “ভোটের প্রস্তুতি” হিসাবে দেখছেন । তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন ৷
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’পুলিশ ≥ তৃণমূল ক্যাডার । পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ না থাকলে এই তৃণমূল দলটারই কোনো অস্তিত্ব থাকবে না, এটা আমি আগেও বলেছি। এই ভিডিও টা আবারো প্রমান সাপেক্ষে দিলাম। এসিপি শান্তনু সিনহা বিশ্বাস ভবানীপুরের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে, মদন পাল লেনের স্বরাজ সংঘ ক্লাবে এসে পাড়ার মহিলাদের শাড়ি বিতরণ করছেন, সেই সাথে বলছেন ‘দিদি দিয়েছে’। এসিপি পদাধিকারী একজন পুলিশ অফিসার কি এটা করতে পারেন?’
তিনি আরও লিখেছেন,’সাধে কি আর আমি পুলিশ কে মমতা পুলিশ বলি ! কারণ এরাজ্যে পুলিশ অনেক আগে থেকেই তৃণমূলের ক্যাডার এ পরিণত হয়েছে, এখন তো অবস্থা এই যে তৃণমূল কে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার দায় এই সব পুলিশ কর্তার দলীয় নেতাদের চেয়ে বেশি, কারণ সরকার বদল হলে এদের অপকর্মের ফল এদেরকে ভোগ করতেই হবে। তবে ভবানীপুরের মানুষ বুঝতে পারছেন এটা সমাজ সেবা নয় ভোটের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু যতই বাঁটো তোলাবাজির টাকায় কেনা কাপড়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হারতেই হবে ভবানীপুরে । ২০২৬ শে ভবানীপুর নন্দীগ্রাম ২.০ হতে চলেছে…।’।