প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৪ সেপ্টেম্বর : কাকাকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় পুলিশ ভাইপোকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠানোর পর জখম কাকার মৃত্যু সংবাদ পৌছালো বাড়িতে । এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার শম্ভুপুর গ্রামে । ধৃতের নাম সুজিত অধিকারী।শম্ভুপুর গ্রামেই তাঁর বাড়ি। আক্রান্ত জগন্নাথ অধিকারীর স্ত্রী বন্দনাদেবীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জামালপুর থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে সুজিতকে গ্রেপ্তার করে । পুলিশ শনিবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে । সিজেএম ধৃতকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্য়ন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।ধৃতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন জগন্নাথ অধিকারীর পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে,বৃহস্পতিবার রাতে জগন্নাথ
অধিকারীর সঙ্গে বচসা বাঁধে তাঁর ভাইপো সুজিতের।সেই বচসা চলাকালীন সুজিত তাঁর কাকাকে প্রচণ্ড মারধর করে।মারধরে গুরুতর জখম হন জগন্নাথ। তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভির্ত করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতী হলে জগন্নাথ বাবুকে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। এই ঘটনা বিষয়ে জগন্নাথ বাবুর স্ত্রী বন্দনা অধিকারী শুক্রবার বেলায় জামালপুর থানায় ভাইপো সুজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন । তার ভিত্তিতে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ ওই রাতেই সুজিতকে গ্রেপ্তার করে ।পুলিশ এদিন সুজিতকে বর্ধমান আদালতে পাঠিয়ে দওয়ার পর কলকাতার হাসপাতালে জগন্নাথ বাবুর মারা যাওয়ার খবর পৌছায় তাঁর পরিবারে। ধৃতের বিরুদ্ধে পুলিশ খুনের ধারা যুক্ত করুক এমনটাই দাবি এদিন করেছেন মৃত জগন্নাথ আধিকারীর পরিবার ।।