এইদিন স্পোর্টস নিউজ,২৩ সেপ্টেম্বর : গত ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে দুবাইতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ ২০২৫-এর সুপার ফোরের ম্যাচে ভারত পাকিস্তানকে ছয় উইকেটে পরাজিত করে। এই দুর্দান্ত জয়ের পর ভারত জুড়ে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছিল, অন্যদিকে পাকিস্তানি দলের খেলোয়াড়দের অঙ্গভঙ্গি এবং কিছু খেলোয়াড়ের আচরণ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে । ম্যাচ চলাকালীন পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের, বিশেষ করে হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং সাহেবজাদা ফারহানের আক্রমণাত্মক এবং অসংলগ্ন আচরণ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় । অর্ধ শতক পূর্ণ করার পর ফারহান নিজের ব্যাটিটি ‘বন্দুকের গুলি ছোড়ার মতো উদযাপন’ করেছিল, যা খুবই বিতর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে । তার এই আচরণ কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয়দের । ফারহানের এই ঘৃণ্য কাজের সমালোচনার মাঝে এখন ইরফান পাঠানের বড় বক্তব্যও সামনে এসেছে।
ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার ইরফান পাঠান তার ইউটিউব চ্যানেলে ম্যাচ এবং সেখানে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন। পাঠান বলেছেন যে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটি খুব শান্ত এবং পেশাদারভাবে জিতেছে। কিন্তু পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আক্রমণাত্মক মনোভাব এবং অঙ্গভঙ্গি ভারতীয় দলের প্রতি তাদের অভদ্র আচরণের ইঙ্গিত দেয় । পাঠান বলেন,”আমরা অতীতে, আজ এবং ভবিষ্যতেও সবসময় শান্তিপূর্ণভাবে খেলেছি। কিন্তু অন্যায়ের মুখে আমরা কখনও চুপ থাকব না। এটিই নতুন ভারত, কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয় তা আমরা জানি ।’ তিনি বলেন,’ম্যাচ- পরবর্তী উপস্থাপনার সময়ও, তরুণ খেলোয়াড় অভিষেক শর্মা এবং শুভমান গিল স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন। দুজনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “তোমার বকতে থাকো, কিন্তু ম্যাচ আমরাই জিতবো।” এই লেখাটিকে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ভাষা এবং আচরণের প্রতি একটি নীরব প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।”
পাঠান বিশেষভাবে হারিস রউফ এবং সাহেবজাদা ফারহানের আচরণের সমালোচনা করে বলেন, ‘ফারহান যেভাবে বন্দুক উড়িয়ে উদযাপন করছিলেন তা সত্যিই অসঙ্গত এবং অসংবেদনশীল ছিল। আপনি জানেন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক কেমন, এই ধরনের অঙ্গভঙ্গি অনেক দায়িত্বশীনতার পরিচয় দেয়। অস্ট্রেলিয়ায় হারিস রউফের সাথে আমার কথা হয়েছিল, সেই সময় তাকে সভ্য মনে হয়েছিল। কিন্তু এখন সে যে আচরণ দেখিয়েছে তা তার প্রকৃত শিক্ষা এবং আসল স্বভাব দেখায় ।’
ইরফান পাঠান বলেন, ভারতের কাছে পাকিস্তানের জয় বা পরাজয় গুরুত্বপূর্ণ নয়। এমনকি ২০২২ সালে জিম্বাবুয়ের কাছে পাকিস্তান যখন হেরেছিল, তখনও তারা কোনও প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। কিন্তু যখন কেউ ভারতের বিরুদ্ধে অনুপযুক্ত ভাষা বা আচরণ ব্যবহার করে, তখন অবশ্যই প্রতিক্রিয়া দেখাবে। যদি তুমি আমাদের জ্বালাতন করো, আমরা মুখ বুজে সহ্য করব না – এটাই নতুন ভারত।’।