এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২০ সেপ্টেম্বর : বিহারের পর পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনী অভিযান (SIR) যে কোনওদিন শুরু হতে পারে । বর্তমানে প্রাথমিক স্তরের কাজ চলছে । কিন্তু রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআর-এর তীব্র বিরোধীতা করছে । এমনকি শুধুমাত্র ধর্মীয় কারনে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে ভারতে পালিয়ে আসা মতুয়া সম্প্রদায়ের নেত্রী ও রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর পর্যন্ত এসআইআর -এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন । ‘আইন পরিবর্তন করে অনুপ্রবেশকারীদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি । শুধু তাইই নয়,এসআইআর হলে নেপালের মত অবস্থা করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর।
আজ শনিবার হুগলি জেলার চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগর কালীতলায় এসআইআর ও সিএএ-র প্রতিবাদসভায় এই হুমকি দেন তিনি । মমতাবালা বলেছেন,’কেন্দ্র সরকার একটার পর একটা আইন করে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে গোলামে পরিণত করতে চাইছে। এতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। মতুয়া আদর্শ বিজেপি-আরএসএসের সঙ্গে মেলে না। আইনের মাধ্যম দিয়ে এরা ধ্বংস করতে চাইছে৷’ তিনি আরও বলেছেন,’আইন পরিবর্তন করে নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে। নেপালে কী হয়েছে দেখেছেন তো, চ্যালেঞ্জ করে বলছি তাহলে আগামিতে ভারতবর্ষেও সেটা হবে। মোদি-অমিত শাহ সেটা যেন জেনে রাখেন। আমরা সবরকমভাবে চেষ্টা করব বাধা দেওয়ার। একজনেরও নাগরিকত্ব বাতিল হলে আমরা তাঁদের পাশে থাকব ।’
যদিও কেন্দ্র ও এরাজ্যের বিজেপি নেতারা বারবার বলছেন যে এসআইআর-এর জন্য ধর্মীয় কারনে দেশত্যাগী হওয়া বাংলাদেশি হিন্দুদের কোনো অসুবিধা হবে না । তবে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিমদের কোনো মতেই এদেশে থাকতে দেওয়া হবে না ৷ বিজেপির অভিযোগ, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিমরা মূলত তৃণমূলের ভোটব্যাংক৷ আর সেই ভোটব্যাংক হারানোর ভয়েই এরাজ্যের শাসকদল এসআইআর নিয়ে জলঘোলা করছে । কিন্তু বিজেপি নেতারা আশ্বস্ত করলেও মতুয়া-সম্প্রদায়ের মধ্যে এসআইআর নিয়ে শাসকদল উদ্বেগ ঢুকিয়ে দিচ্ছে সেটা তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের কথাতেই স্পষ্ট । ইতিমধ্যেই বিহারে গিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন মতুয়াদের ২৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল।।