এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,১৯ সেপ্টেম্বর : পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে “কুকুর” বলা বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির নেত্রী ও রমনা কালিমন্দির কমিটির সভাপতি অপর্ণা রায় দাস নিজের দেশের হিন্দুদেরই তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন । সেদেশের হিন্দুরা ওই মহিলার নতুন নামকরণ “কলি যুগের সূর্পনখা” করেছে । সনাতনী কন্ঠস্বর নামে বাংলাদেশের একটা ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন লিখেছেন,”এ কোনো সাধারণ মহিলা নয় লা এ হলো কলি যুগের সূর্পনখা।”
ওই পেজেরই অ্যাডমিন অনুরদ্ধা রাণী রমনা কালিমন্দির কমিটির সভাপতি হিসাবে অপর্ণা রায় দাসের নির্বাচনের তীব্র সমালোচনা করেছেন । এই বিষয়ে তিনি লিখেছেন,”রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি কে বানিয়েছে এই সপূর্ণখার বংশধরকে?
যারা যারা বড় বড় পর্যায়ে আছে তারাই দেখছি বেশি বেশি দালালি করে বেড়াচ্ছে,,,টাকার আশায় নাকি ভয়ে? নাকি স্বার্থ? এইসব দালালের জন্য বাংলাদেশের হিন্দুরা মার খায় কিন্তু বিচার পায়না । কারণ এই সমস্ত দালাল পতিতার বাচ্চারা বলে যে দেশে হিন্দু নির্যাতন হয়না ।”
প্রসঙ্গত,গত পরশু রমনা কালিমন্দিরের সামনে হ্যান্ড মাইকে অপর্ণা রায় দাসকে বলতে শোনা যায়,’ভারত থেকে শুভেন্দু বারবার বলে যে বাংলাদেশের হিন্দুরা শান্তিতে নেই । শান্তিতে না থাকলে পুজো পালন কি করে হয় ? গত বছর আমাদের পুজো ৩১ হাজার হয়েছে । তাহলে কিভাবে হল ?’ মহিলা আরও বলেন, ‘ভারতের ওই কুকুর শুভেন্দু ঘেউ ঘেউ করে । তাকে আমি নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি যে আপনি এসে দেখে যান যে বাংলাদেশের হিন্দুরা কত ভালো আছে । আমি আপনাদের নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি রমনা কালীমন্দির এর পক্ষ থেকে ।’ মহিলার কথায়, সকল ধর্মের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে । আমি বলবো না যে শুধু সনাতন ধর্মালম্বির মানুষ নির্যাতিত হয়েছে । সকল মানুষ, জনগণ নির্যাতিত হয়েছে । সবচেয়ে আনন্দের বিষয় ছিল বিগত বছরের দশমীতে। এই মন্দির প্রাঙ্গণে ছোট ছোট মেয়েরা সিঁদুর খেলেছে । স্বাধীনতার পর এর আগে এত সাড়ম্বরে তারা পালন করতে পারেনি।’
তার এই মন্তব্যের পর শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, বাংলাদেশের হিন্দুরা ওই মহিলার নিন্দায় সরব হন । বাংলাদেশের কেউ কেউ অপর্ণা রায় দাসকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে তুলনাও করেছেন । প্রদীপ সরকার নামে এক বাংলাদেশি লিখেছেন,’ওপার পিসি vs এপার পিসি ।’