এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৮ সেপ্টেম্বর : প্রতি বছর দুর্গাপূজার আবহে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা বাংলাদেশে কার্যত নিয়ম হয়ে গেছে৷ স্থানীয় হিন্দুরা ভাঙচুরকারী জিহাদিদের ধরে পুলিশের হাতে তুলেও দেয় । কিন্তু বাংলাদেশের পুলিশ তাদের কখনো ‘পাগল’ বা কখনো ‘অসুস্থ’ বলে ছেড়ে দেয় । বুধবার বাংলাদেশের গাজীপুরের কাশিমপুরে পূজা উদযাপন কমিটির অসমাপ্ত বেশ কয়েকটি অসমাপ্ত প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে । এবারে এই ঘটনার জন্য সরাসরি “বাতাস”-এর উপর দোষ চাপিয়ে দিলেন কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু নাসের মহম্মদ আল আমিন৷ ওই জিহাদি পুলিশ কর্তার কথায়, ‘কাল সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস ছিল, বাতাসেই প্রতিমা ভেঙে গিয়েছে, এর বাইরে কিছু নয়।’ এদিকে তার এই মন্তব্যের তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক প্রকাশ করেছে স্থানীয় হিন্দুরা৷ তাদের অভিযোগ,সহকারী পুলিশ কমিশনার এই প্রকার দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করে আদপে জিহাদিদের প্রতিমা ভাঙচুরে উৎসাহিত করেছে।
জানা গেছে,গতকাল বুধবার দুপুরে কাশিমপুর নামা বাজার এলাকায় অর্ধ সমাপ্ত বেশ কিছু প্রতিমা ভাঙচুর করে পালিয়ে যায় জিহাদিরা । পূজা উদযাপন কমিটির লোকজন দুপুরের খাবার খেতে বাড়ি গেলে এই ঘটনা ঘটে । সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যায় তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তেও যায় ৷
স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা প্রতিমাগুলো সবসময় পাহারার ব্যবস্থা রেখেছিলাম। তবে দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যায়, তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পায়। এ বিষয়ে আমরা থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।’ কিন্তু কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু নাসের মহম্মদ আল আমিনের এই প্রকার ঘৃণ্য মন্তব্যে পর তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন৷ যদিও পুলিশের অত্যাচার ও জিহাদিদের হামলার ভয়ে তিনি মুখ খোলেননি ।।