এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাঁশকুড়া (পূর্ব মেদিনীপুর), ১৫ সেপ্টেম্বর : পাঁশকুড়ার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ওয়ার্ড গার্ল হিসাবে কর্মরত দুই বোনকে সুপারের দেওয়া নিজের ঘরে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে “রিলায়েবেল ফেসিলিটি সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেডের” নামে একটি বেসরকারি সংস্থার ফেসিলিটি ম্যানেজার শেখ জহির আব্বাস খানের বিরুদ্ধে ৷ দুই বোন ওই বেসরকারি কোম্পানিরই ওয়ার্ড গার্ল-এর কাজ করেন । বিজেপির সহায়তায় নির্যাতিতারা পাঁশকুড়া থানায় নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়েরের পর রবিবার রাতে কোলাঘাট থেকে জহির আব্বাস খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । বর্তমানে সে পুলিশের হেফাজতে ।
এদিকে শেখ জহির আব্বাস খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ উঠছে। দাবি করা হচ্ছে যে শুধু ওই দুই বোন নয়, বিগত কয়েক বছর ধরে স্বঘোষিত তৃণমূল নেতা জাহির আব্বাস খান একাধিক তরুনীর সর্বনাশ করেছে । তৃণমূল নেতাদের অদৃশ্য হাত তার মাথায় থাকায় জহির আব্বাস খানের বিরুদ্ধে কেউই আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে সাহস করেনি ।
এদিকে জাহির আব্বাসের বিরুদ্ধে আরও একটা চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে । অভিযোগ যে পাশকুড়া হাসপাতাল প্রথম নয়, ১৫ বছর আগেও ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িয়ে জেল যাত্রা হয়েছিল জাহির আব্বাসের,এমনই অভিযোগ করেছেন এক নির্যাতিতা নাবালিকার মা । সেই সময় ২২ দিনের জেলও হয় তার । তারপরেও সরকারি হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজার পদে কিভাবে জাহির আব্বাস খান এত বছর কাজ করছে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।
গতকাল এসইউসিআই-এর বিক্ষোভ মিছিলে ওই নির্যাতিতা কিশোরীর মা জাহির আব্বাস খানের শাস্তির দাবিতে সামিল হয়েছিলেন । সেই সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন,তখন আমার মেয়েটা স্কুলে পড়াশোনা করতো । কিছুদিন পর আমার মেয়ের পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় । আমি জিজ্ঞেস করলে বলে জ্বরের ওষুধ দিয়েছে । এরপর মেয়ের হঠাৎ ব্লিডিং শুরু হয় । তারপর পাঁশকুড়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে জানতে পারি যে আমার মেয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা । বিগত ৬ মাস ধরে আমার মেয়ের সঙ্গে সহবাস করছিল জাহির ।’ তিনি বলেন,’আমরা থানায় গেলে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । তারপর মেয়ের গর্ভের পাঁচ মাসের সন্তানকে নষ্ট করে দেওয়া হয়। সেই মামলা চলছে এখনো ।’ সেই সময় পাঁশকুড়া হাসপাতালে কর্মরত সুলতানা নামে এক অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷।