এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৮ সেপ্টেম্বর : তৃণমূল সুপ্রিমো ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে “নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়”কে প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন যে যথেষ্ট বিকল্প থাকলেও মমতা তার অনুগতদের বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) হিসেবে নিযুক্ত করছেন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়কে প্রভাবিত করতে । আজ এক্স-এ বিএলও নিয়োগের জন্য বিকল্প প্রস্তাবের তালিকা শেয়ার করেছেন তিনি । তিনজনের নামের তালিকায় উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ(এসি)-এর ২০ নম্বর বুথে সহকারী শিক্ষক রমেশ চন্দ্র দাসের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে । শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে গভীরতা অর্জন করেছে তার কোনও সীমা নেই। রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের এক স্পষ্ট প্রদর্শনে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি রমেশ চন্দ্র দাসকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে অস্থায়ী কর্মী থাকা সত্ত্বেও ২০ নম্বর বুথের বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে, একই বুথের অন্যান্য যোগ্য শিক্ষকদের ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করে এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য একজন তৃণমূল নেতাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।”
রমেশ চন্দ্র দাসকে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে মিছিলে হাঁটার দুটি ছবিও পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা । তিনি এই বিষয়ে লিখেছেন,”এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং টিএমসি যন্ত্রের একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ, যাতে তারা দলীয় অনুগতদের বিএলও হিসেবে নিয়োগ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অনুপ্রবেশ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পবিত্রতাকে ক্ষুণ্ন করে এবং আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করে।”
এর আগে ভাটপাড়া বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের ব্লক লেভেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং । তার অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম লঙ্ঘন করে শাসকদলের একাধিক নেতাকে বিএলও হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। অর্জুন সিংয়ের সেই দাবিকেই মান্যতা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, আগেই এই ইস্যুতে তাঁরা অভিযোগ তুলেছিলেন। বিএলও-এর একটি তালিকাও কমিশনে জমা দেওয়া হবে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিকে
শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, ”বিভিন্ন জেলাশাসকের দফতর থেকে প্রায় ৮০ হাজার বিএলও-র (BLO) নাম সংগ্রহ করেছি। তার ওপরে কাজ চলছে। অনুমান করা হচ্ছে কমপক্ষে ১০ হাজার নাম উঠে আসবে। আগামী সপ্তাহে এই তালিকা কমিশনে জমা দিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করা হবে।” ইতিমধ্যে ৩-৪ হাজার পোক্ত নাম পাওয়া গেছে বলেও তিনি দাবি করেন ।।