এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুয়াহাটি,১৬ সেপ্টেম্বর : অর্থের বিনিময়ে সরকারি ও সাত্রা (ধর্মীয় ট্রাস্ট) জমি সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করে দিতেন আসাম সিভিল সার্ভিসেস (এসিএস)-এর একজন কর্মকর্তা নূপুর বোরা । তার অভিযোগ রয়েছে যে বরপেটায় কর্মরত থাকাকালীন তিনি কোটি কোটি টাকার জমির দলিল অবৈধভাবে হস্তান্তর করেছিলেন বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের কাছে ।
বেশিরভাগ জমিই হিন্দুদের ছিল যা মুসলমানদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, তিনি অবৈধভাবে সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারীদের নামে সরকারি জমি নিবন্ধন করিয়েছিলেন। এছাড়াও, বোরার বরপেটা এবং গোলাঘাটে বেশ কয়েকটি ব্যাংক লকার রয়েছে এবং সেগুলিও এখন ভিজিল্যান্স কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন । ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ ভিজিল্যান্স সেলের কর্মকর্তাদের একটি দল গুয়াহাটিতে বোরার বাসভবনে অভিযান চালিয়ে ৯০ লক্ষ টাকারও বেশি নগদ টাকা এবং প্রায় ১ কোটি টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে।গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, বরপেটায় তার ভাড়া বাড়ি থেকে ১০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
২০১৯ সালে আসাম সিভিল সার্ভিসেস অফিসার হওয়া গোলাঘাটের বাসিন্দা নূপুর বোরা বর্তমানে কামরূপ জেলার গোরোইমারিতে সার্কেল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এর আগে তিনি বরপেটা এবং কার্বি আংলংয়ে সার্কেল অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন।আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “সরকার তথ্য পেয়েছে যে এই কর্মকর্তা হিন্দুদের জমি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের কাছে হস্তান্তর করছেন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জমি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার কারণে গত ছয় মাস ধরে নূপুর বোরার উপর নজর রাখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওই কর্মকর্তা হিন্দুদের জমি সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। যার কারণে তার উপর নজর রাখা হচ্ছিল। বরপেটায় তার কর্মজীবনের সময় তিনি টাকার বিনিময়ে জমি হস্তান্তরের কাজ করেছিলেন।”
স্পেশাল ভিজিল্যান্স সেল বোরার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের আস্তানায় অভিযান শুরু করেছে। সেলটি বোরার কথিত সহযোগী লাট মণ্ডল সুরজিৎ ডেকার বরপেটায় বাসভবনেও অভিযান চালিয়েছে। ডেকার বিরুদ্ধে বোরার সাথে যোগসাজশে বরপেটায় বেশ কয়েকটি জমি কেনার অভিযোগ রয়েছে।খবর অনুসারে, পুলিশ বিষয়টি আরও তদন্ত করছে এবং এই দুর্নীতি মামলায় বোরার সাথে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের জড়িত থাকার বিষয়েও তদন্ত করা হতে পারে।।

