এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৬ সেপ্টেম্বর : ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ভোটে বিজেপির জয় এক প্রকার নিশ্চিত বলে মনে করছেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী । তিনি আজ মঙ্গলবার কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট ভাষায় দাবি করেন, ‘মমতা ব্যানার্জিকে ২০২৬-এ যেতেই হবে । কোন শক্তি ওনাকে এই নির্বাচনে রক্ষা করতে পারবে না ।’
গতকাল দিল্লিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন । এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন,’কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সম্মনীয় শ্রী অমিত শাহ জীর সাথে আজ ওনার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলাম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ ওনার সাথে আলোচনা হয়েছে। ব্যস্ততা সত্বেও প্রায় ৪৫ মিনিট মতো উনি আমাকে সময় দিয়েছেন এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সম্মানীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে আমি আসন্ন দুর্গাপুজোয় পশ্চিমবঙ্গে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’
আজ কলকাতাতে ফেরেন শুভেন্দু । বিমানবন্দর থেকে তিনি সল্টলেকে দলীয় কার্যালয়ে যান । সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে আচমকা অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,’নিশ্চিত ভাবে ছমাস পরে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন আছে । উনি(অমিত শাহ) একজন বড় নেতা । মনে প্রানে চান ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি আসুক। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির রাজ্যে যতক্ষণ না পদ্ম ফুটছে কুড়ি পঁচিশটা যতই রাজ্য বিজেপির হোক না কেন, বৃত্ত সম্পন্ন হয় না । স্বাভাবিকভাবে রাষ্ট্রীয় নেতারা প্রত্যেকেই ইন্টারেস্টটেড যে তিন থেকে যদি ৭৭ হয়, তাহলে কেন ১৭৭ হবে না ?’
তিনি বলেছেন,’যদি বিজেপির ভোট দশ শতাংশ বাড়তে বাড়তে ৩৯ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায় তাহলে চল্লিশ শতাংশ ভোট কেন ৪৫ শতাংশ করা যাবে না । স্বাভাবিকভাবে সকলেই ইন্টারেস্টেড । মমতা ব্যানার্জিকে ২০২৬-এ যেতেই হবে । কোন শক্তি ওনাকে এই নির্বাচনে রক্ষা করতে পারবে না ।’
শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’গণতন্ত্রে জনতা জনার্দন শেষ কথা । সাংবাদিকরা যদি ব্যক্তিগতভাবে বুম ছাড়া,সাংবাদিক পরিচয় না দিয়ে জনতার কাছে যায় এবং সাধারণ প্রান্তিক মানুষকে জিজ্ঞেস কর, যারা লুক বদল করেছে তাদের নয়,তাহলে বুঝতে পারবেন ।’ শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,’পশ্চিমবাংলায় একটা প্যান্টকে তিনবার সেলাই করে পরে এরকম যুবকের সংখ্যা অনেক,কয়েক কোটি ।’
তিনি বলেছেন,’যে রাজ্যের ২ কোটি ১৫ লক্ষ বেকার, ৯ বছর পরে এসএসসির পরীক্ষা হয় তাও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে । এই রাজ্যের মানুষ পরিবর্তন চায় এবং পরিবর্তনটা বিজেপির হাত ধরেই চায় । বিজেপি একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প। কারণ বিজেপি পরিচালিত রাজ্যগুলিতে যে ব্যক্তিদের দ্বারাই মন্ত্রীসভা নিয়ন্ত্রণ হোক না কেন পুরো নজরদারি থাকে নরেন্দ্র মোদীজির। আর নরেন্দ্র মোদিজীর দেশপ্রেম জনতার প্রতি মমত্ত, একাত্মতা এবং সর্বোপরি তার সততা এবং স্বচ্ছতা এটা নিয়ে বিরোধীরাও তার বিরুদ্ধে কখনো আঙুল তুলতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না ।’।

