এইদিন ওয়েবডেস্ক,পুরী,১৬ সেপ্টেম্বর : ওড়িশার পুরী জেলার একটি সমুদ্র সৈকতের কাছে ১৯ বছর বয়সী এক কলেজ ছাত্রীকে সমুদ্রসৈকতের পাশে ঝাউবনের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছে। তবে ধৃতদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ ।
জানা গেছে,দুপুর নাগাদ ব্রহ্মগিরি থানা এলাকার বলিহারচণ্ডী মন্দিরের কাছে এই ঘটনাটি ঘটে। ওই তরুনী এবং তার পুরুষ সঙ্গী কিছু সময় কাটাতে পুরীর মন্দিরের কাছের একটি জায়গায় গিয়েছিলেন । স্থানীয় একদল যুবক তাদের ছবি ও ভিডিও তুলে তাদের কাছ থেকে টাকা দাবি করে।যখন তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন দলের দুজন ব্যক্তি ছাত্রীটিকে টানতে টানতে সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি ঝাউবনের মধ্যে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে ।
পুরীর পুলিশ সুপার প্রতীক সিং ব্রহ্মগিরি থানায় দায়ের করা ভুক্তভোগীর এফআইআর উদ্ধৃত করে পিটিআইকে বলেন,’ণধর্ষণের আগে দলের অন্য সদস্যরা ভুক্তভোগীর পুরুষ সঙ্গীর হাত বেঁধে রেখেছিল ।’ যদিও ঘটনাটি শনিবার ঘটেছিল, তবে যৌন নির্যাতনের যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসার পর সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এফআইআর দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার । তিনি বলেন,নির্যাতিতা তরুনীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
এর আগে,গত ১৫ জুন উড়িষ্যার গঞ্জাম জেলার গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে একই ঘটনা ঘটেছিল । ওই গণধর্ষণের ঘটনায় দশজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বারবার একই ঘটনা ঘটতে থাকায় পুরীর সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ এখানে প্রায় সারাবছর পর্যটকের ভিড় থাকে। দোষীদের কড়া শাস্তি ও পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর দাবি উঠেছে ।।