এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাবুল,০৩ সেপ্টেম্বর : আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর আফগানিস্তানের নতুন সরকার গঠনের ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ ইরানের আদলে একটি সরকার গঠনের বিষয়ে তালিবানের তরফ থেকে এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । কাবুলে রাষ্ট্রপতি ভবনে নতুন সরকার গঠনের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ।
কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাই আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের সর্বোচ্চ নেতা হতে চলেছেন বলে সুত্রের খবর । দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হতে চলেছে আখুন্দজাদা । সরকার,আইন ব্যাবস্থা ও সেনাবাহিনীর প্রধানদের নির্বাচিত করার অধিকার থাকবে তাঁরই হাতে । তবে তিনি কাবুলের পরিবর্তে কান্দাহার থেকেই সরকারের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রন করবেন বলে খবর ।
দেশের রাজধানী কাবুল ছেড়ে কান্দাহার থেকে সরকার নিয়ন্ত্রন করার পিছনে কারন হল ওই এলাকাই ছিল তালিবানদের মূল ঘাঁটি । তালিবানদের বড়বড় নেতারা কান্দাহারেই আত্মগোপন করে থাকতেন । তাই সরকারের বেশিরভাগ কাজকর্ম পরিচালনার জন্য তালিবানরা কান্দাহারকেই বেছে নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ।
তালিবান নেতা সামঙ্গানি বলেছেন, নতুন সরকারে গভর্নর প্রদেশের প্রধান হবেন । তিনিই জেলার জেলাশাসকের কাজকর্ম চালাবেন । তাঁদের হাতেই থাকবে নিজ নিজ ক্ষেত্রের লাগাম । তিনি জানিয়েছেন,তালিবান ইতিমধ্যে প্রদেশ ও জেলার জন্য গভর্নর ও পুলিশ প্রধান নিয়োগ করে দেওয়া হয়েছে । তবে আগের সরকারের সঙ্গে যুক্তদের নতুন সরকারে সামিল করা হবে না বলে জানিয়েছেন তালিবান নেতা ইনামুল্লা সামঙ্গানি ।
দোহায় তালেবান নেতা শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন,নতুন সরকারে মহিলাদেরও ভূমিকা থাকবে । এছাড়া সকল উপজাতির সদস্যদেরও সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে । জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্টানিকজাই ।
এদিকে আফগানিস্থানের নতুন সরকার চীনের আর্থিক সহায়তাতেই চলবে বলে মনে করা হচ্ছে । ইতিপূর্বে তালিবানরা কবুলও করেছে তারা নতুন সরকার চালানোর বিষয়ে চীনের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল । তালিবানের দু’নম্বর নেতা মোল্লা আবদুল গনি বরাদর বেইজিং-এ গিয়ে চীনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও করে এসেছিলেন । ফলে পাকিস্থানের মতই আফগানিস্থানেও যে চীনের নিয়ন্ত্রন হতে চলেছে এটা নিশ্চিত ।।