এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১২ সেপ্টেম্বর : ভারতের নতুন অভিবাসন আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ । আসলে, ভারত সরকার চলতি মাসের শুরু থেকে নতুন ‘অভিবাসন ও বিদেশি আইন, ২০২৫’ কার্যকর করেছে। এই আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের যেসব ধর্মীয় সংখ্যালঘু ব্যক্তি নিপীড়নের শিকার হয়ে কিংবা নিপীড়নের আশঙ্কায় ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে নতুন আইনের অধীনে ছাড় দেওয়া হবে। এর ফলে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর পুরনো আইনের সময়সীমা আরও দশ বছর বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মনে করছে যে ভারতের এই নতুন আইনে বাংলাদেশের হিন্দুদের দেশ ছেড়ে পালানোর প্রবনতা বেড়ে যাবে ।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতিত্রয় অধ্যাপক ডঃ নিম চন্দ্র ভৌমিক, ঊষাতন তালুকদার ও নির্মল রোজারিও এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের দেশত্যাগের প্রবণতা আরও বেড়ে যেতে পারে। ভারত সরকারের এমন নীতি কী ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ওপর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী হতে পারে তা গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের মনোজগতে যে শঙ্কা ও আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে তা দূর করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে জীবন -জীবিকার সব ক্ষেত্রে এই জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব ও অংশীদারত্ব নিশ্চিত করা জরুরি। একই সঙ্গে তাদের ওপর চলমান নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণেরও দাবি জানান নেতারা।
ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন, অমর্যাদা ও অবহেলা অব্যাহত থাকলে দেশে টেকসই গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব হবে না। তারা আশা প্রকাশ করেন যে, গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘু নিঃস্বকরণ প্রক্রিয়া রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।।

