এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১২ সেপ্টেম্বর : বামপন্থী ও উগ্র বামপন্থীদের গড় বলে পরিচিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং ও ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে এর আগে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য । বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝিলে ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রীর দেহ ভেসে ওঠায় ফের তোলপাড় পড়ে গেছে । মৃতা নিমতার বাসিন্দা বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কিং লটে বৃহস্পতিবার রাতে ড্রামা ক্লাবের আয়োজনে বসেছিল বাউল গানের আসর । বাজছিল তারস্বরে মাইক । অনুষ্ঠানের জন্য সমস্ত হাইমাস্ট আলো ছিল নেভানো । বসেছিল মদের আসর । সেই অনুষ্ঠান দেখতেই এসেছিলেন তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। রাত ৯.৫৫ নাগাদ শৌচালয়ে যাবার কথা বলে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে ছাত্রী । কিন্তু প্রায় মিনিট দশেক পরে তাকে পার্কিং লটের উল্টো দিকে থাকা গভীর ঝিলে ভাসতে দেখা যায় । তারপর রাত ১০.২৬ নাগাদ ছাত্রীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । ওই ছাত্রীর মৃত্যতে ধন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে । কারন ঘটনাস্থলের কিছুটা পাশেই একটা ফাঁকা মদের বোতল পেয়েছে পুলিশ । তাই সে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঝিলের জলে পড়ে গিয়েছিল কিনা বা তার সাথে আর কেউ ছিল কিনা তা স্পষ্ট নয় ।
আজ শুক্রবার কাঁটাপুকুর মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে । তারপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে মৃত্যুর কারণ ও সময় সম্পর্কে। খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে এসে পৌঁছয় মৃত ছাত্রীর পরিবার। মৃত ছাত্রীর মা-বাবাও বিশ্ববিদ্যালয়কেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ।
এদিকে ছাত্রীর মৃত্যুর পর একাধিক প্রশ্ন উঠছে । প্রথমতঃ নিরাপত্তারক্ষীদের ঘরের পাশেই এই ঘটনা ঘটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । রাত্রি ১০ টার পর তারস্বরে মাইক বাজানো ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে মদের আসর বসানোয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকাকে ফের প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে । এছাড়া সিসিটিভি বসানো থাকলেও, তা বাইরের দিকে মুখ করে দেওয়া হয়েছে এবং গোটা ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত হলেও পড়ুয়াদের চাপে তা বাস্তবায়ন হয়নি । ফলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের মানসিকতা ও উদ্দেশ্যকে সন্দেহের চোখে দেখছে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজন ।।