প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০২ সেপ্টেম্বর : পুলিশ, এমভিআই ও ডাকপার্টির জুলুমবাজির
কারণে দায় হয়ে উঠেছে সড়কপথে ট্রাক চালানো। তারই প্রতিবাদে এবার স্বোচ্চার হল হুগলীর ইউনাইটেড ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও ফেডারেশন অফ ওয়েষ্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন। তাঁরা পুলিশি জুলুমবাজি বন্ধে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বৃহস্পতিবার ডেপুটেশন দিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে।পুলিশ দিবসের পর দিন এই রাজ্যের পুলিশের জুলুমবাজি বন্ধের দাবিতে ট্রাক মালিকদের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে পথে নামাটা নজিরহীন বলেই দাবি করেছে রাজনৈতিক মহল ।
হুগলির ডানকুনি টোল প্লাজা থেকে খালি লরি নিয়ে এদিন মিছিল করে ট্রাক মালিকরা পৌছান বর্ধমানের আলিশায় । পরে ট্রাক মালিক সংগঠনের নেতৃত্ব সেখান থেকে পায়ে হেটে পূর্ব বর্ধমান জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে পৌছান । হুগলির ইউনাইটেড ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য কমিটির সদস্য রসিদ সর্দার এদিন বলেন ,“পুলিশ, এম ভি আই, ও ডাকপার্টির অত্যাচার ও জুলুমবাজির কারণে বহু ট্রাক মালিক ট্রাক চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। এইসব দপ্তরের লোকজন জোর করে ট্রাকে ওভারলোড করাতে বাধ্য করছে“ ।অপরদিকে ফেডারেশন অফ ওয়েষ্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সজল ঘোষ অভিযোগে বলেন ,“সম্প্রতি রাজ্যে ’এক্সেল লোড’ বৃদ্ধি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু আসাধু পুলিশকর্মী ও পুলিশের ডাকপার্টির জোর করে ট্রাক ড্রাইভারদের ওভারলোড করতে বাধ্য করছে।ট্রাক ড্রাইভাররা ওভার লোড না করলে বিভিন্ন অজুহাতে অত্যাধিক হারে ফাইন করা হচ্ছে।বিষয়টি নিয়ে ট্রাক মালিকরা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীকে জানালেও সমস্যার সমাধান হয় নি । জুলুমবাজীও বন্ধ হয়নি । তাই তাঁরা চাইছে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক ।’
ডেপুটেশন কর্মসূচীতে অংশ নেওয়া ট্রাক মালিকরা এদিন বলেন ,ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,তিনি ২৯৪টি আসনেই প্রার্থী। তাই তাঁকেই তাঁরা ভোট দিয়েছিলেন।কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জন্য কিছু করছেন না । মুখ্যমন্ত্রী চাইলে একদিনের মধ্যে এই জুলুমবাজী বন্ধ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন ট্রাক মালিকরা । তারা এদিন দাবি করেন , ‘লোডিং পয়েন্ট থেকে আণ্ডার লোড করে গাড়ি বার করা হোক । পাশপাশি মুখ্যমন্ত্রী নিজে
হস্তক্ষেপ করে পুলিশ,এমভিআই ও ডাকপার্টির জুলুমবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নিক ।’ একই দাবির কথা শুনিয়েছেন ট্রাক মালিক সংগঠনের কর্তারাও ।।