এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১১ সেপ্টেম্বর : দলের সাংগঠনিক রদবদলের পর মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলের জেলাপরিষদ সদস্য বুলবুল খান এবং হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাজমূল হোসেনের গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে । মঙ্গলবার গভীর রাতে বুলবুল খান ঘনিষ্ঠ দুই তৃণমূল নেতার বাড়ি ও দোকানে মন্ত্রী তাজমূল হোসেনের গোষ্ঠীর লোকজন হামলা চালানোর পর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত হয় । এর বুধবার রাতে বুলবুল খানের নেতৃত্বে তার বেশ কিছু অনুগামীরা হরিশ্চন্দ্রপুরে সদর এলাকায় ভিড় জমালে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় । বেগতিক বুঝে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় । সারা রাত ধরে এলাকায় টহল দেয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ । যদিও তারপর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলের জেলাপরিষদ সদস্য বুলবুল খান এবং হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাজমূল হোসেনের গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ চলে আসছে । এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল করা হলে সেই বিবাদ চরম আকার ধারন করে । মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রীর গোষ্ঠীর লোকজন বুলবুল খান গোষ্ঠীর দুই নেতা পূজন দাস ও সাহেব দাসের বাড়ি ও দোকানে হামলা চালায় বলে অভিযোগ । পূজন হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূলের প্রাক্তন যুব সভাপতি এবং সাহেব আইএনটিটিইউসির বর্তমান ব্লক সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন ।
জানা গেছে,এদিকে হামলার পর শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় । প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে আক্রান্ত দুই তৃণমূল নেতার অনুগামী সহ বুলবুল খান গোষ্ঠীর লোকজন পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় । ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবীতে সোচ্চার হন। যদিও তারা পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় । ফের সন্ধ্যার দিকে বুলবুল খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু তৃণমূল নেতাকর্মী হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় ভিড় জমালে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে । ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানের ঝাঁপ ফেলে দিয়ে যে যার বাড়ি চলে যায় । যদিও দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি বিশেষ উত্তপ্ত হয়নি । হরিশ্চন্দ্রপুর কৃষাণ সেলের ব্লক সভাপতি স্বপন রাতে দুই নেতার বাড়ি ও দোকানে হামলাকে “সন্ত্রাস” বলে অবিহিত করেছেন এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ।।