এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,০৯ সেপ্টেম্বর : মুসলিম সম্প্রদায় জামাইবাবুকে “দুলাভাই” বলে সম্বোধন করে । আর জামাইবাবু-শ্যালিকার সম্পর্ক হয় ভাইবোনের মত ৷ বাংলাদেশের বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া (১৩) শ্যালিকা তার “দুলাভাই” ইউসুব আলী (২৫)কে নিজের বড় দাদা মনে করত । কিন্তু সেই “দুলাভাই”ই চরম সর্বনাশ করে দিল তার । গলায় ছুড়ি ধরে শ্যালিকাকে ধর্ষণ করল ইউসুব । নির্যাতিতার বড় দাদা এনিয়ে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ধুনট থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেছে । ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ‘আদালতের আদেশে থানায় ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
ইউসুব আলী ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সুলতানহাটা পেচেরপাড়া গ্রামের দিপু প্রামানিকের ছেলে। অন্যদিকে নির্যাতিতা কিশোরী উপজেলার ঘুগড়াপাড়া গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে এবং সে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ।মেয়েটি গত ১২ জুলাই দুপুরে সুলতানহাটা পেচেরপাড়া গ্রামে দুলাভাই ইউসুব আলীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেই সময় তার বড় দিদি চিকিৎসার করাতে ধুনট শহরে গিয়েছিল । বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে ইউসুব আলী কিশোরীকে একা পেয়ে কৌশলে ঘরের ভেতর নিয়ে যায় । এরপর তার গলায় ছুরি ধরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একাধিক বার ধর্ষণ করে ।
এদিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত একটি ভ্যানে তুলে দিয়ে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ইউসুব আলী। স্কুলছাত্রী বাড়িতে ফিরে ঘটনার কথা খুলে বলে । তখন পরিবারের লোকজন ওই ছাত্রীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে । সেখানে গত ৯ আগস্ট তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়
এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর দাদা ইউসুব আলীর বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ধুনট থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন । তবে গুনধর “দুলাভাই” চম্পট দিয়েছে ।।