এইদিন ওয়েবডেস্ক,শ্রীনগর,০৬ সেপ্টেম্বর : জম্বু কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের আশারি শরিফ হযরতবাল মাজারে ওয়াকফ বোর্ডের পাথরের ফলকে খোদাই করা ভারতের জাতীয় পবিত্র চিহ্ন অশোক চক্র পাথর দিয়ে ভেঙে দেয় কিছু স্থানীয় ইসলামি চরমপন্থী ব্যক্তি ও মহিলা । তারা অশোক স্তম্ভ লাগানোকে ধর্ম নিন্দা বলে অভিযোগ করেছে । এই ঘটনা গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে । বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছে । এমনকি জম্মু ও কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের প্রধান দারক্ষন আন্দ্রাবি বলেছেন যে সংস্কারকৃত হজরতবাল মাজারের উদ্বোধনী ফলকে জাতীয় প্রতীকের বিরোধিতাকারীদের সন্ত্রাসী হিসাবে বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত; এফআইআর নথিভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি । কিন্তু এই ঘটনায় জম্বু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতির জিহাদি মানসিকতা সামনে এসেছে ।
মেহবুবা মুফতি আশারি শরিফ হযরতবাল মাজারে পাথরের ফলকে অশোক স্তম্ভ ভাঙচুরের ঘটনাকে সমর্থন করে বলেছেন যে, এই ব্যক্তিদের সন্ত্রাসী বলা ঠিক নয় এবং জড়িত ব্যক্তিরা “আবেগের বশে” ছিলেন। মুফতি জম্মু ও কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ড এবং এর সদস্যদের এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ২৯৫-এ ধারার অধীনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, দাবি করেছেন যে তারা যা করেছেন তা “ধর্মনিন্দা”।
ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে পুনর্গঠন ও পুনর্নির্মাণের কাজ চলাকালীন মাজারে ভিত্তিপ্রস্তরে লেখা জাতীয় প্রতীকটি ভাঙচুর করার একটি ভাইরাল ভিডিও প্রকাশের পর তার এই মন্তব্য আসে। এক সাংবাদিক সম্মেলনে পিডিপি প্রধান বলেন,’যারা আবেগে ভাংচুর করেছে এবং তারা প্রতীকের বিরুদ্ধে নয়… এটা বলা ঠিক নয় যে এই লোকদের জননিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেপ্তার করা উচিত এবং তারা সন্ত্রাসী… আমি বলব যারা ২৯৫-এ ধারার অধীনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত কারণ এটি আমাদের জন্য ধর্ম অবমাননা… যে কোনও কাজ যা কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমি মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব।’ মেহেবুবা আরও বলেছেন,’ওয়াকফ বোর্ড এর জন্য দায়ী… দায়ীদের বিরুদ্ধে ২৯৫-এ ধারার অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, বিশেষ করে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে ।’
পাশাপাশি ওমর আবদুল্লাহ বলেছে,’ধর্মীয় স্থানে অশোক স্তম্ভ লাগানোর কি প্রয়োজন ছিল ? কোথাও তো লাগানো হয় না ।’ তিনি আরও বলেন, “এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।” ওয়াকফ বোর্ডকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানান তিনি।প্রসঙ্গত, এই ওমর আবদুল্লাই কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গে এসে বাঙ্গালীদের পহেলগাঁও হামলা ভুলে পুনরায় কাশ্মীর যাওয়ার আবেদন করেছিল যাতে কট্টরপন্থীদের রুটিরুজি বন্ধ না হয়ে যায় । আর নিজের দেশের জাতীয় প্রতীকের অবমাননাকারী জিহাদিদের সমর্থন করে একদিকে যেমন নিজের জিহাদী মানসিকতার প্রমাণ দিলেন, পাশাপাশি অন্যদিকে পরোক্ষভাবে জম্বু কাশ্মীরের কট্টরপন্থী ভাবধারাকে জিইয়ে রাখতে উৎসাহিত করলেন উপত্যকার ওই দুই ইসলামি নেতা ।।