এইদিন ওয়েবডেস্ক,নীলফামারী,০৫ সেপ্টেম্বর : শেখ হাসিনাকে দেশছাড়া করার পর বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় এখন উগ্র ইসলামি সংগঠনগুলি । দেশজুড়ে প্রতিদিনই সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার হচ্ছে সেদেশের হিন্দুরা ৷ এই পরিস্থিতিতে একদিকে যখন ধর্মীয় ও জাতিগত হিংসা বন্ধের দাবি তোলার পাশাপাশি হিন্দুদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে বাংলাদেশে । পাশাপাশি অন্যদিকে একাধিক পূজার আয়োজনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ানোর ঘটনারও খবর আসছে৷ একই মণ্ডপে একাধিক পূজা আয়োজনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কলেজপাড়ায় হিন্দুদের একাধিক গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা৷ সংঘর্ষে মহিলাদের পর্যন্ত জড়াতে দেখা যায়৷
জানা গেছে,নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কলেজপাড়া ক্ষত্রিয় সমিতির শ্রীশ্রী সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে কোনো গোষ্ঠী পূজোর আয়োজন করবে তা নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত । একাধিক গোষ্ঠী পৃথকভাবে পূজোর আয়োজন করলে বিবাদ চরম আকার ধারন করে । স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী এই উপাসনালয়ে দীর্ঘদিন ধরে সার্বজনীন পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে চলতি বছর একই মণ্ডপে ভিন্ন ভিন্ন পক্ষ পূজা আয়োজনের চেষ্টা করলে তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এতে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ মন্দিরের সামনে প্যান্ডেলে কাঠামো খুলে দেলা হয় । বেধে যায় তুমুল সংঘর্ষ । মহিলারা পর্যন্ত সেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । ফলে হিন্দু সমাজের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার যে ডাক দেওয়া হচ্ছে তা ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশে ।
ধর্মীয় নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, মন্দির রক্ষা ও ধর্মীয় ঐক্যই হিন্দু সমাজের মূল শক্তি হওয়া উচিত। অথচ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ায় সমাজকে দুর্বল করে তুলছে । তারা আরও বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থ বা প্রভাব বিস্তারের জন্য একাধিক পূজা আয়োজনের প্রতিযোগিতা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। স্থানীয় ভক্ত ও মন্দির কমিটির সদস্যরা এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, পূজা অর্চনা ভক্তি, শান্তি ও সৌহার্দ্যের প্রতীক; সেখানে বিভক্তি ও সংঘাতের কোনো স্থান নেই। হিন্দু সমাজের ঐক্য অটুট রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুত সমঝোতা ও সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।।

