এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৪ সেপ্টেম্বর : ভাষা নিয়ে আলোচনার মাঝে আজ বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়ে উঠল বিধানসভার অধিবেশন । স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে সাসপেন্ড করে দেন । তারপরেও তিনি নিজের আসনে বসে থাকায় স্পিকারের নির্দেশে শঙ্কর ঘোষকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয় ১০-১২ জন মার্শাল । যার ফলে আহত হন শঙ্কর ঘোষ । তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার একে “তৃণমূলের রাজনৈতিক হিংস্রতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করার জঘন্য নজির” বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন,বিরোধীদের উপর নির্বিচারে দমন-উৎপীড়ন চালিয়ে আগেই গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করেছিলেন রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । কিন্তু তাঁর উপস্থিতিতে আজ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় যা ঘটলো, তা শুধু চূড়ান্ত নিন্দনীয়ই নয়, বরং তৃণমূলের রাজনৈতিক হিংস্রতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করার জঘন্য নজির! গায়ের জোরে, দম্ভ-আস্ফালন করে বিধানসভার পবিত্রতাকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা আজ তুঙ্গে পৌঁছলো। বিজেপি পরিষদীয় দলের মাননীয় মুখ্য সচেতক তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে টেনে-হিঁচড়ে কার্যত বর্বরতার সাথে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হলো সেই মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই, যিনি একসময় নিজে বিধানসভায় আক্রমণ চালিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন।
বিরোধী বিধায়কদের উপর এমন নৃশংস আক্রমণ শুধু হিংস্রতার নজির নয়, এটি গণতন্ত্রের জন্য লজ্জাজনক কলঙ্ক !’
উল্লেখ্য, আজকের অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের হেনস্থার প্রতিবাদ শীর্ষক আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আগে অগ্নিমিত্রা পালের নাম ডাকা হয় । তবে তিনি তখন অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না । তখন মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তৃতা রাখতে বলেন স্পিকার।কিন্তু এরই মধ্যে চলে আসেন অগ্নিমিত্রা। বিজেপি বিধায়করা চিৎকার করতে থাকেন, যাতে অগ্নিমিত্রাকে বলতে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীও তখন স্পিকারকে অনুরোধ করেন, যাতে অগ্নিমিত্রাকে বলতে দেন তিনি। স্পিকার সে অনুমতি দেন, কিন্তু অগ্নিমিত্রার বক্তৃতার সময় কমিয়ে দেন স্পিকার । নির্দিষ্ট সময় পর তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর মমতা ফের বলতে শুরু করলে বিজেপি বিধায়করা কন্ঠরোধের অভিযোগ তুলে তুমুল হইহট্টগোল শুরু করে দেন। আর তখনই ই শঙ্কর ঘোষ স্লোগান শুরু করেন, কেন শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, আর সে বিষয়ে কেন দু’রকমের বক্তব্য রাখা হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের মাঝেই বিধায়করা ঘিরে ধরেন স্পিকারকে। মমতাকে যথেষ্ট উত্তেজিত দেখা যায় । শেষ পর্যন্ত চিফ হুইপ শঙ্কর ঘোষকে সাসপেন্ড করে দেন স্পিকার।।

