এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০১ সেপ্টেম্বর : মালদা জেলার হবিবপুর থানা এলাকায় আজ সোমবার সাতসকালেই দেওরের হাতে খুন হয়ে গেলেন এক আদিবাসী বধূ । ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর থানার মঙ্গলপুরা অঞ্চলের পিড়াল গাড়িয়া গ্রামে। মৃতার নাম সুনিতা মুর্মু(২৪)। দেওর সঞ্জীব কিস্কু তাকে কোদাল দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ । ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা ঘাতক যুবককে বাড়ির বারান্দায় খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে হবিবপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় । পাশাপাশি মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
জানা গেছে,মৃতা সুনিতা মুর্মুর স্বামীর নাম নায়েব কিস্কু । স্বামীর সঙ্গে খেতমজুরের কাজ করতেন সুনিতা মুর্মু । আজ কাজে যাননি সুনিতা । স্বামীর নায়েব কিস্কুর কথায়,সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিনি জমিতে কাজ করতে চলে যান । কিন্তু কিছুক্ষণ পর একজন প্রতিবেশী মাঠে এসে খবর দেন যে বাড়িতে কিছু একটা ঘটেছে৷ ওই ব্যক্তি তাকে দ্রুত বাড়ি থেকে যেতে বলেন । এরপর তিনি ছুটতে ছুটতে বাড়ি চলে আসেন । তিনি বলেন,’বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই যে বাড়ি লাগোয়া পুকুর পাড়ে আমার স্ত্রী ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। অন্যদিকে ভাই সঞ্জীব কিস্কুকে গ্রামবাসীরা বাড়ির বারান্দায় খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে দেওয়া হয়েছে । স্থানীয় বাসিন্দারা আমায় জানায় যে আমার ভাই কোদাল দিয়ে আমার স্ত্রীর ঘাড়ে এবং পিঠে কুপিয়েছে । কিন্তু ঠিক কি কারণে আমার ভাই আমার স্ত্রীকে হত্যা করলো কিছুই বুঝতে পারছি না৷’
জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় রক্তাক্ত অচৈতন্য স্ত্রীকে উদ্ধার করে বুলবুলচন্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান নায়েব কিস্কু । কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের ছুটে আসে হবিবপুর থানার পুলিশ৷ পুলিশ মৃতার দেওর ঘাতক সঞ্জীব কিস্কুকে গ্রেপ্তার করে । পাশাপাশি মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় । পুলিশ ধৃতকে জেরা করে খুনের কারন জানার চেষ্টা করছে ।।

