এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ আগস্ট : এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। গত ২৫ আগস্ট মুর্শিদাবাদের কাঁদির আন্দি গ্রামে বিধায়কের বাড়িতে ইডি হানা দিলে তিনি প্রাচীর টপকে পালানোর চেষ্টা করেন ৷ কিন্তু ব্যর্থ হন । ওইদিনই ইডি তাকে দীর্ঘ জেতার পর গ্রেপ্তার করে৷ আজ শনিবার কলকাতার বিচার ভবনে ইডির বিশেষ আদালতে জীবনকৃষ্ণকে তোলা হয় । উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী টগরি সাহা এবং পুত্র। আর এজলাসে স্ত্রী-পুত্রকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি তৃণমূল বিধায়ক । এজলাসের মধ্যেই পুত্রকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি । ইডি জীবনকৃষ্ণকে আবার হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন করে । বিচারক তাকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।
শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত কয়েক বছরে এক কোটি টাকার বেশি লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে । ইডি তদন্তে তার অনেক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং লেনদেনের তার হদিশ পেয়েছে বলে দাবি করেছে । ইডি আদালতে জানিয়েছে যে বিভিন্ন সময়ে ৪০ লক্ষের বেশি টাকা অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন জীবনকৃষ্ণ। কারও কারও কাছ থেকে একাধিক দফায় টাকা নেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের অধিকাংশই চাকরি পাননি । তবে শুধু জীবনকৃষ্ণ নন, তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টেও লেনদেন হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর । সেই রাঘব বোয়ালরা কারা জানতেই ইডি জীবনকৃষ্ণকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে জানতে চাইছে ।
এর আগে যখন সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাকে আদালতের মাধ্যমে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়েছিল । অবশ্য পরে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়ে যান তিনি । তখনো জামিনের খবর শুনে জেলের মধ্যে ডুকরে কেঁদে ফেলেন তৃণমূল বিধায়ক ।।

